পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, অসময়ে ঝড়বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে আছি। এজন্য নদী, খাল খনন করতে হবে। বন্যার স্থায়ী সমাধানে সুনামগঞ্জের ২০টি নদী খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সহায়তা প্রদান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা সুনামগঞ্জের মানুষের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। তাঁরা জানে কিভাবে বন্যা মোকাবেল করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বন্যার্ত মানুষের সহায়তায় খুবই আন্তরিক। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দিতে কাজ করা হচ্ছে। যাঁরা ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আশা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যতদিন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হবে, ততদিন ত্রাণ সহায়তা দিয়ে পানিবন্দী মানুষজনকে ভালো রাখার চেষ্টা করা হবে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে ভেঙে যাওয়া বাঁধগুলো মেরামত করা হবে। সুরমা নদীর ড্রেজিং ব্যবস্থা চলমান আছে তবে এখন পানি বৃদ্ধির কারণে কাজ বন্ধ আছে। আমাদের নতুন প্রকল্প আছে,আগামী বর্ষার আগে ২০টি নদী খনন করে একটা পর্যায়ে পৌঁছাতে পারলে নদীগুলোর পানির ধারণ ক্ষমতা বাড়বে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য