-->
শিরোনাম

আঙিনায় রোপিত একটি আলুবোখারা গাছেই সফল সেলিনা

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আঙিনায় রোপিত একটি আলুবোখারা গাছেই সফল সেলিনা
থোকায় থোকায় ঝুলছে আলুবোখারা

পোলাও, বিরিয়ানি, মুরগির রোস্ট, খাসির রেজালা, আচারসহ নানা পদের খাবারে মসলা হিসেবে আলুবোখারা ব্যবহৃত হয়। স্বাদে ভিন্নতা আনতে মসলাজাতীয় এ ফলের বহুবিধ ব্যবহার আছে। ফলটির ব্যাপকভাবে পরিচিত হলেও দেশীয় পরিবেশে এ ফলের গাছ খুব একটা দেখা যায় না। ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শুকনা বা প্রক্রিয়াজাত অবস্থায় আলুবোখারা এ দেশে রসনাবিলাসীদের পাতে পৌঁছায়।

সাম্প্রতিক সময়ে বিক্ষিপ্তভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ির আঙিনায় কেউ কেউ আলুবোখারাগাছ রোপণ করছেন। কেউ কেউ সফলও হয়েছেন। তাঁদেরই একজন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সেলিনা আক্তার।

সেলিনা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গভর্নিং বডির সদস্য। তিনি নিজের বাড়ির আঙিনায় লাগানো একটি আলুবোখারাগাছ থেকে ১৫ কেজি করে ফল পাচ্ছেন। তিন বছর ধরে তিনি ফল সংগ্রহ করছেন। গাছটির বয়স এখন পাঁচ বছর।

গতকাল শুক্রবার সেলিনার বাড়ির আঙিনায় গিয়ে দেখা গেল, প্রায় ১২ ফুট উঁচু আলুবোখারাগাছজুড়ে ফল আর ফল। কোনোটির রং লাল, কোনোটি গাঢ় খয়েরি। মাঝারি আকারের বরইয়ের মতো দেখতে আলুবোখারা ফলগুলো গাছের ডালের অগ্রভাগে থোকায় থোকায় ঝুলছে। ফলগুলো পুরোপুরি গোলাকার হলেও বোঁটা থেকে শেষ পর্যন্ত এক পাশে কিছুটা খাঁজকাটা। পাকা অবস্থায় টক-মিষ্টি এবং পাকার শুরুতে স্বাদ কিছুটা আমলকীর মতো। পুরোপুরি গাঢ় খয়েরি হলে ফলটি পেকেছে বলে ধরে নেওয়া হয়।

সেলিনার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে আলুবোখারাগাছে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর জুন মাসের শুরুর দিকে গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যায়। গাছে ফুল ধরা শুরু করলে সব পাতা ঝরে যায়। এ সময় ফুলভর্তি গাছ অন্য রকম সৌন্দর্য ছড়ায়।

সেলিনা খাতুন বলেন, ২০২২ সাল থেকে তিনি প্রচুর আলুবোখারা ফল পাচ্ছেন। প্রতিবছর ১৩ থেকে ১৫ কেজির মতো আলুবোখারা সংগ্রহ করতে পারেন। এবার এখনো ফল সংগ্রহ শুরু করেননি। তবে বিগত বছর থেকে এবার বেশি ফলন পাওয়ার আশা করছেন।

 

ভোরের আকাশ/মি/সু

মন্তব্য

Beta version