নবাবগঞ্জের চারটি পর্যটন স্পট যেমন- ব্রাহা ঘাট, মৈনট, নারিশা ও নবাবগঞ্জ বেড়িবাঁধে পায়ে চলা দর্শনার্থীদের সবসময় ভীতভাবে চলাচল করতে হয়। এসব স্থানে কংক্রিটের ব্লক বসিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য চলাচলের সুব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এসব স্থানে দর্শনার্থীদের সর্বদা ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়।
অনেক সময়ই দেখা যায় একটি বাইকে তিন-চারজন একসঙ্গে উঠেছে। অনেকের মাথাতে হেলমেট নেই। তার ওপর আবার একশ্রেণির মোটরসাইকেলের চালক আছে, যারা মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার এর প্রযুক্তিগত কিছু অদলবদল ঘটিয়ে বিকট শব্দ সৃষ্টি করছে। অধিকাংশ লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেলের শব্দ তাণ্ডব ও বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছে। আইনগতভাবে পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নজরদারি না থাকায় যুবক-তরুণ তাদের মোটরসাইকেলে চোখ ধাঁধানো বিকন লাইট, তীব্র মিউজিকাল হর্ন ও সাইরেন লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের বেশির ভাগই ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সী। তাদের এমন বেপরোয়া গাড়ি চালনায় আতঙ্কিত হয়ে পথ চলতে হয় দর্শনার্থীদের। যেমন, কেউ সাইলেন্সার পাইপের ভিতরে থাকা জালটি ফাটিয়ে দেন।
কেউ আবার ২-৩ হাজার টাকা খরচ করে ‘ফ্রি ফ্লো’ সাইলেন্সার কিনে বাইকে লাগান। অথচ এ ধরনে সাইলেন্সার যুক্ত বাইক ব্যবহার করা হয় ট্র্যাক রেসিংয়ে। কারণ ওই ‘ফ্রি ফ্লো’ সাইলেন্সার লাগানো থাকলে মোটরবাইকের ওজন কিছু কমে যায়। তাতে রেসিংয়ের সময়ে গতি তুলতে সুবিধা হয়। এ ধরনের মডিফিকেশন চলার পথে এমন কি সড়কেও চলাচল করার কোনো সুযোগ নেই। এদিকে মোটরবাইকের কান ফাটানো আওয়াজ ও বেপরোয়া গতিতে সাধারণ মানুষের প্রাণান্তকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। কখনো পর্যটন স্পটে দর্শনার্থীদের পিছন দিক থেকে মোটরসাইকেল এসে হঠাৎ করে হর্ণ দিতে থাকে। এতে দর্শনার্থীরা হয়ে পড়ে বিব্রত ও শঙ্কিত।
এসব পর্যটন স্পটে বাইকারদের দৌরাত্ম্য থামাতে কর্তৃপক্ষ বাঁশ ও বালির বস্তা ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলেও, যুবক ও তরুণদের তা উপেক্ষা করতে দেখা যায়। অনেকের অভিমত এসব এলাকায় মোটরসাইকেল রাখার আলাদা ব্যবস্থা করলে দর্শনার্থীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য