সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৬ লক্ষাধিক পানিবন্দী মানুষজন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছিলেন। এরইমধ্যে দুঃসংবাদ দিল বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সূত্র জানায়, চলতি মাসের শেষভাগ থেকে আগামী মাসের প্রথমভাগ নাগাদ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বন্যার মধ্যমেয়াদি পূর্বাভাস সম্পর্কিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে, দেশের অভ্যন্তরে এবং তৎসংলগ্ন পদ্মা-মেঘনা-যমুনা অববাহিকার উজানের কতিপয় স্থানে বিভিন্ন সময়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারী এবং সময় বিশেষে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর ২৮ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত আগামী ১০ দিনের নদী-অববাহিকা ও অঞ্চলভিত্তিক বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাব্য অবস্থা নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সামগ্রিকভাবে কমছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী সাতদিন মাঝারি থেকে ভারী এবং কখনো কখনো ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে, এসময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি বাড়তে পারে। চলতি মাসের শেষভাগ থেকে আগামী মাসের প্রথমভাগ নাগাদ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদীগুলোর (সুরমা, কুশিয়ারা, পুরাতন-সুরমা, সারিগোয়াইন ইত্যাদি) পানি দ্রুত বেড়ে নিম্নাঞ্চলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে সুনামগঞ্জে বড় ধরণের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য