গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে ৪ শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ, বিভিন্ন ফল বাগান, বসতবাড়ি লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। রোববার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের পূর্ব লোহাদী গ্রামে এই ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি ঘটে। ঘূর্ণিঝড় এলাকা পরিদর্শন করেছেন কাপাসিয়া ইউএনও।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ দুপুর ২টার দিকে প্রায় ২০ বিঘা জমির উপর এই ঘূর্ণিঝড় প্রায় ৩ মিনিট স্থায়ী হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায় ও বিভিন্ন জমিনের গাছপালা ভেঙে উপড়ে ফেলে দেয়। এলাকার বহু কৃষকের কলাবাগান, লিচুবাগান, পেয়ারা বাগান সহ বিভিন্ন বাগান ও বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির বলেন, রোববার দুপুর ২টার দিকে গ্রামের পূর্ব আকাশ কালো করে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে। এতে ৩ মিনিটের মধ্যে গ্রামের বেশিরভাগ অংশ তছনছ করে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যেই ঘটে এই ঘটনা। এতে এলাকাবাসী দিকবিদিক হারিয়ে ফেলে।
এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. আনিস বলেন, দুপুরে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল, বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই এলাকাটিকে লন্ডভন্ড করে ফেলে। মানুষ বুঝে ওঠার আগেই ঘূর্ণিঝড় হঠাৎ করেই আবার কোথায় যেন হারিয়ে যায়।
বারিষাব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম আতাউজ্জামান বাবলু বলেন, মুহূর্তের মধ্যেই কোত্থেকে এ ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে তা আমরা বুঝতে পারছিলাম না। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ে এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। ঘূর্ণিঝড়ে ৪ শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ, বিভিন্ন ফল বাগান, বসতবাড়ি লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে ইউএনও একেএম লুৎফর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ঘূর্ণিঝড় এলাকা পরিদর্শন করেছি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় এলাকা পরিবেশন করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুল হক চৌধুরী আইয়ুব।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য