পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ১৫ দফা দাবি আদায়ে বিভিন্ন দপ্তরের গেটে তালা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে কর্মকর্তা পরিষদের সদস্যরা। সোমবার সকাল ৯টায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের দপ্তর ছাড়া অন্যসব দপ্তরে তালা দেন তারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
কর্মকর্তাদের এই কর্মসূচির সঙ্গে কর্মচারী পরিষদের একাংশ একাত্মতা পোষণ করে তাদের সাথে যোগ দেন। এ সময় পাবিপ্রবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়।
কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, ৪% গৃহ ঋণ বাস্তবায়ন, কর্মকর্তাদের পদন্নোতি নীতিমালা সংশোধন, কর্মকর্তাদের নিয়োগবিধি সংশোধনসহ ১৫ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপিতে ২৮ মে এর মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশাসন দাবিগুলো পূরণ না করলে ৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রাকে ৮জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা দিয়ে একটি চিঠি দেন তারা। এখন অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে তারা জানান।
অন্যদিকে কর্মচারী পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, গত ১২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর, কর্মচারীদের পদন্নোতি নীতিমালা সংশোধন, ৪% গৃহ ঋণ বাস্তবায়ন, এডহক হতে পেনশন গণনা, কর্মচারীদের ডরমেটরি এবং মাস্টাররোল ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ৩০ জুনের মধ্যে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।
পাবিপ্রবি কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফারুক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। ১৪ দফা আমাদের অধিকার আদায়ের। দাবি আদায় ছাড়া আমরা মাঠ ছাড়ব না।’
পাবিপ্রবি কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো পূরণ করেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, ‘দাবি অনেকগুলো, আমরা আলোচনা করছি এবং সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য