-->

ট্রাক চালক ও হেলপারকে অপহরনের দায়ে পুলিশের এসআই-এএসআইসহ কারাদন্ড ৫

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ট্রাক চালক ও হেলপারকে অপহরনের দায়ে পুলিশের এসআই-এএসআইসহ কারাদন্ড ৫

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ভারতীয় ২৫২ বস্তা পিঁয়াজসহ ট্রাক লুট, ট্রাকের চালক ও হেলপারকে অপহরন ও চাঁদা দাবি মামলায় কাজীপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুল হাসান ও সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খানকে সহ ৫ আসামীকে পৃথক দুটি ধারায় ২১ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

একই সাথে দুটি ধারায় প্রত্যককে ৪০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া অপর আসামী সাব্বির আলম ওরফে সবুজকে দুই বছরের কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়া আসামী মিন্টু ও মনসুর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ এম. আলী আহমেদ এই রায় প্রদান করেন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার রাশেদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুল হাসান ও সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খান, সলঙ্গা থানার পাটধারী গ্রামের শীতল প্রামানিকের ছেলে রেজাউল করিম ওরফে রনি, হাসানপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে সবুজ আলী ও বাগুন্দা গ্রামের বাহাজ উদ্দিনের ছেলে আনিস ড্রাইভার। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের নান্নু মন্ডলের ছেলে সাব্বির আলম ওরফে সবুজ।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে সাব্বির আলম ওরফে সবুজ ছাড়া সকল আসামী পলাতক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের ১০ জুলাই রাতে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সোনা মসজিদ বন্দর থেকে ২৫২ বস্তা ভারতীয় পেয়াজ একটি ট্রাকে করে চট্রগ্রামের উদ্যেশ্যে রওনা হয় চালক মো: মোরশেদ আলী ও হেলপার রবিউল। ট্রাকটি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার র‌্যাব-১২ এর কার্যালয়ের সামনে সমবায় পেট্রোল পাম্পে টয়লেট ব্যবহারের জন্য থামালে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে ট্রাকের চালক ও হেলপারকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে অপহরন করে নিয়ে যায়।

পরে ট্রাকের চালক ও হেলপারকে অজ্ঞাত স্থানে আটক রেখে ট্রাকের মালিকের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এঘটনায় ট্রাকের মালিক মজিবুর রহমান সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার নাটুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মাইনুল হাসান, সলঙ্গা থানার এএসআই মতিউর রহমান খান সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।

মামলা চলাকালে ১৫ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত ৩৬৫ ধারায় ৭ বছর ও ৩৯২ ধারায় ১৪ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া আসামী সাব্বির আলম ওরফে সবুজ দুৃই বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পি পি আব্দুর রহমান এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. বিমল কুমার দাস, ইন্দ্র্রজিত সাহা, মো. আসিফ আজাদ, মো. জামাল উদ্দিন ও মো. কামরুল হুদা।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version