নীলফামারীর ডোমারে মাছের পোনা চাষের সংখ্যা বেড়েছে। মাছ চাষ এবং পোনা চাষ অনেক পরিবারের প্রধান আয়ের উৎস হয়ে উঠেছে। নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার মির্জাগঞ্জ মাস্টার পাড়া গ্রামের পোনা চাষী সুমন ইসলামের বর্তমান প্রধান আয়ের উৎস মাছের পোনা চাষ।
কার্প জাতীয় মাছের পোনা চাষী সুমন ইসলাম বলেন, পূর্বে মাছ চাষের জন্য পুকুরে বিভিন্ন আকারের পোনা মজুদ করতাম। কেউ কেউ বছরে ১/২ বার রেনু /ধানী ছাড়তেন। পোনা অতিরিক্ত হলে মাঝেমধ্যে কিছু বিক্রি করতেন। কিন্তু বর্তমানে শার্প এনজিও এর মৎস্য কর্মকর্তা ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তার পরামর্শে অনেকে ৩/৪ বার রেনু/ধানি পুকুরে মজুদ করেন শুধুমাত্র বিভিন্ন আকারের পোনা মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে।
লাভের বিষয়ে জানতে চাইলে সুমন ইসলাম বলেন, আমার আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে একমাত্র মাছের পোনা চাষের মাধ্যমে। আমি ৩৪ শতাংশের একটি পুকুরে ৫০ দিনের ১৮ হাজার টাকা খরচ করে কার্প জাতীয় ৮ মণ পোনা মাছ ৮২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এখনো যে পরিমান পোনা মজুদ আছে যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা। এ পুকুর হতে লাভ প্রায় ৮৪ হাজার টাকা। সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রামের (শার্প) এর মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলম জানান- পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সমন্বিত কৃষি ইউনিট (মৎস্য খাত) মাছ চাষে বিভিন্ন প্রযুক্তি সদস্য পর্যায়ে বাস্তবায়ন এবং সম্প্রসারণ করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভের জন্য গুনগত মানের মাছের পোনা উৎপাদন ও বিক্রির কোন বিকল্প নেই।
ডোমার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, ডোমারে বেশ কয়েকটি মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে। মাছ চাষে ভাল পোনার কোন বিকল্প নেই। উপজেলা পর্যায়ে চাষীদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। লাভ বেশী হওয়ায় অনেকে মাছের পোনা চাষে ধাবিত হচ্ছে। আমার জানা মতে শার্প এনজিও মৎস্য চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য