দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দিন দিন বেড়েই চলেছে মাদক কারবার। এতে ঝুঁকে পড়েছে যুবসমাজ। এলাকায় যেভাবে মাদক বিস্তার করছে তাতে জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এক সময় ফুলবাড়ীতে মাদকের অভিযান চললেও এখন তেমন কোনো মাদক নিমূর্লে আর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে না।
ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর শহরে ফেন্সিডিল এর পরিবর্তে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকের কারবার চলছে। শিবনগর ইউপির পুরাতুন বন্দরে ও আদিবাসী পাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে মাদকের রমরমা কারবার। বিশেষ করে পুরাতন বন্দরে প্রায় ডজন খানেক মাদক কারবারী গড়ে উঠেছে। তারমধ্যে নতুন কয়েকজন এ পথে পা দিয়েছেন। তারা ভ্রাম্যমানভাবে মধ্যে এবং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তা মাদক সেবীদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
ফুলবাড়ীতে মাদকের ছড়াছড়ি হওয়ায় অগনিত মাদক সেবী দেখা যাচ্ছে। এরা নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরি ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছেন। মাদকের কারবারের মধ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট এর কারবার খুবই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে শিবনগর ইউপির দাদপুর, পুরাতন বন্দর, ফুলবাড়ী পৌরসভার কাজীবাড়ী রোড, পশ্চিম গৌরীপাড়া, কাঁটাবাড়ী, কাঁনাহার, জোলাপাড়া, আলাদীপুর ইউপির বারাই, কাজিহাল ইউপির শেখপাড়া, চমুক, আদিবাসী পাড়াসহ ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও শহরে ভয়াবহ মাদক কারবার চলছে। এই কারবারে অল্প দিনে অঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে মাদক কারবারীরা।
মাঝে মধ্যে র্যাব ও জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রক তাদের সোর্স নিয়োগ করে অভিযান চালান। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তারা বেশ কিছু অভিযান চালিয়ে ১০-১৫টি মাদকের মামলা দিয়েছেন ফুলবাড়ী থানায়। ফুলবাড়ী থানা থেকে মাদক অভিযানের তথ্য দেওয়া হয় না সংবাদিকদেরকে। পূর্বের ফুলবাড়ী থানার ইনচার্জ গণ মাদক কারবার বা মাদকের চালান আটক করলে তা সাংবাদিকদের মাঝে প্রেস ব্রিফিং দিতেন; এখন আর তা দেখা যায় না।
ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকা হওয়ায় কিছু এলাকাদিয়ে মাদক ঢুকছে। সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই মাদক কারবার করছেন। বিশেষ করে ঘাসুরিয়া, দেশমা, কাঁটলা, চৌঠা, শিবপুর, হামলাকুড়ি দিয়ে মাদকের কারবার চলছে। দ্রুত মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা না হলে মাদক নির্মূল কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
এ ব্যাপারে মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের নেক দৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য