দেশের সড়ক-মহাসড়কে রক্তপাত ও মৃত্যুর মিছিল বন্ধে সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ সম্প্রতি গাইবান্ধায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাফিস শাহরিয়ার আকাশের ঘাতক চালক-হেলপারকে গ্রেফতার-বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আকাশের বন্ধু-স্বজনরা।
রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে শহরের ডিবি রোডে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে ‘গাইবান্ধাবাসী’র ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, বন্ধু-স্বজন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেয়।
সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে মানববন্ধনে দাবি-দাওয়া সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন অংশগ্রহনকারীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাধারণ মানুষের জন্য সড়ক-মহাসড়ক চলাচল উপযোগী করে তোলা, চালক এবং সহকারীদের সড়ক নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক আইন বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া, ফিটনেসবিহীন যানবাহন সড়কে চলতে না দেয়া, উল্টো পথে চলাচলকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, ফুটপাত, ওভারব্রিজ এবং আন্ডারপাস প্রয়োজনীয় মেরামত ও পরিচ্ছন্ন করে চলাচল উপযোগী এবং জনসাধারণকে তা ব্যবহারে উৎসাহী ও বাধ্য করা, রাতে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সড়ক বাতি মেরামত ও স্থাপন এবং পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে ফুটপাত দখল মুক্ত করা এবং সড়কে হতাহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- নিহত আকাশের বাবা শামসুর হক, গাইবান্ধা থিয়েটার সভাপতি আলমগীর কবির বাদল, গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মোস্তাক আহম্মেদ রঞ্জু, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি দেবাশীষ দাস দেবু, সাংবাদিক রিকতু প্রসাদ, শিরিন আক্তার, শাহরিয়াল এইচ বাপ্পী, রায়হান, এনামুল হক বিজয়, অনুপ সাহা, শিপ্লু কুমার এবং আকাশের বন্ধু আতিকুর রহমান শাওন, সৌমিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, প্রতিনিয়ত সড়কে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না। বেপরোয়া চালকদের একটু অসাবধানতায় ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। নিঃস্ব হচ্ছে শত শত পরিবার। গত পনের দিনে গাইবান্ধায় সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন অধ্যাপক আবদুল কাদির মিয়া, শাহরিয়ার নাফিস আকাশ এবং জোবায়ের রেজা জাহিদ। সড়ক দুর্ঘটনার নামে এসব হত্যাকাণ্ড এখনই বন্ধ করতে হবে। তাঁরা আরও বলেন, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যেমন যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে, তেমনি পথচারী এবং যাত্রীদেরও ট্রাফিক আইন মেনে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল দাবি জানানো হয়।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য