-->

রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৬

বগুড়া প্রতিনিধি
রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ৬
বগুড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০জন। এরমধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
 
গতকাল রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রা বের হওয়ার পর শহরের সেউজগাড়ি আমতলা মোড় এলাকায় এ দুঘটনা ঘটে।
 
নিহতরা হলেন-বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল গ্রামের মৃত সুদেব এর মেয়ে শ্রীমতি রঞ্জিতা (৬০), আদমদিঘী উপজেলার কুন্ডু গ্রামের মৃত ভবানী মহন্তের ছেলে শ্রী নরেশ মহন্ত (৬০), সদর উপজেলার তিনমাথা রেলগেটের লঙ্কেশ্বরের স্ত্রী আতসী রানী (৪০), শিবগঞ্জ উপজেলার কুলুপাড়া গ্রামের মৃত নরেন্দ্র কুমারের ছেলে অলক কুমার (৪২)। এ ছাড়া আরও এক অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়েছে।
 
স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রথযাত্রা শুরুর পর সাতমাথার দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে রথটি পৌঁছালে সেখানে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনের সঙ্গে রথের স্টিলের গম্বুজের স্পর্শ লাগে। এতে রথের চূড়ায় আগুন লেগে যায় এবং প্রচণ্ড ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এছাড়া রথের উপরে এবং পাশে ভক্তরা লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে। পরে সেখানে কমপক্ষে ৩০জন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে সরকারি দুইটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহতরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
 
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, রথযাত্রার সময় রথের চূড়াটি বিদ্যুতের তারে স্পর্শ করলে এ ঘটনা ঘটে।
 
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শুভাশীষ পোদ্দার লিটন।
 
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা রোববার বিকেলে রথযাত্রার উদ্বোধন শেষে সেখান থেকে চলে আসি। এরপর জানতে পারি রথটি সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে পৌঁছালে বৈদ্যুতিক মেইন লাইনের সঙ্গে রথের গম্বুজের স্পর্শ লাগে। এতে অনকেই গুরুত্বর আহত হন। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে জানতে পারি এখানে চারজন ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে একজন মারা গেছে। তবে আহতদের সংখ্যা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। আমরা হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট পেলে আহতদের সংখ্যা জানতে পারবো। তবে ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
 
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version