-->
শিরোনাম

বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রের দাবি

খালেদ উসমানী, সিলেট
বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রের দাবি
ক্যাপশন: সিলেটের জৈন্তাপুরের গর্দ্দনা গ্রামের পানিবন্দী একটি বাড়ি

চলতি বর্ষা মৌসুমে ৩য় বার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট এর ভারত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ। বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ অনেক এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় সাধারণ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্য ও গবাদিপশু নিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হচ্ছে এসব এলাকার সাধারণ মানুষের।

 

সরেজমিনে জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার কয়েকটি গ্রামে পরিদর্শন করে দেখা যায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় বন্যায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বন্যা কবলিত এসকল এলাকার সাধারণ মানুষের। জৈন্তাপুর উপজেলার গর্দ্দনা গ্রামে প্রায় এক হাজার পরিবার বসবাস করেন। চলতি বর্ষা মৌসুমে গ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ ঘর বাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে যায়। এই গ্রামে কোন আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় গ্রামের মানুষ পরিবারের লোকজন ও গবাদিপশু নিয়ে নৌকায় প্রায় ৫ কি.মি. দূরে তামাবিল সড়কে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। অনেকে দূর দূরান্তে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

 

গোয়াইনঘাট উপজেলার কচুয়ারপার গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের প্রায় সব রাস্তা ও বাড়ি ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই এলাকায় ছোট একটি আশ্রয় কেন্দ্রে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি পরিবার আশ্রয় নিতে নিতে পারে এমনকি এই আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এই এলাকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ সিলেট সদর উপজেলার ধুপাগুল এলাকায় আশ্রয় নেন।

 

বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ এসকল এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রের দাবি করে ভোরের আকাশকে বলেন, এসকল গ্রামের রাস্তাগুলো উঁচু করা হলে আকস্মিক বন্যায় আক্রান্ত হলে মানুষ অন্তত রাস্তায় আশ্রয় নিতে পারবে।

 

জৈন্তাপুর উপজেলার গর্দ্দনা গ্রামের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য আবেগ আপ্লুত হয়ে ভোরের আকাশকে বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই আমাদের নির্ঘুম রাত কাটে। ভারতের পাহাড়ি ঢলের পানিতে হঠাৎ করে খুব দ্রুত আমাদের ঘরবাড়ি ডুবে যায়। তখন আমরা গভীর রাতে ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়।’

 

জৈন্তাপুর ইউএনও ভোরের আকাশকে বলেন, আমাদের অনেক এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংকট রয়েছে। আমরা সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবো।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version