এক মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ। গত দুদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নদীতীরবর্তী এলাকাসহ নিম্নাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। গত দুদিনের টানা ভারী বর্ষণে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকালের পর থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকায় সুরমা নদীর পানি কমেছে ১৬ সেন্টিমিটার। বিকাল তিনটায় বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৫৫ মিলিমিটার ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের ডুবছে নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। ইতোমধ্যে তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার অন্তত ২ লক্ষাধিক মানুষ আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। গত দুই দফা বন্যায় সুনামগঞ্জের ২২ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৩০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, 'বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নদ-নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বড় ধরণের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই।’
ভোরের আকাশ/সু
মন্তব্য