-->
শিরোনাম

ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে

গাইবান্ধায় তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। তবে হ্রাস পাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি।

গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটাসহ চার উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ধরে আবারও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে, তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি। পানি কমতে থাকায় ফিরতে শুরু করেছিল নদী তীরবর্তী এলাকার বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা। তবে পানি বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন বানভাসীরা। এখনো বিপৎসীমার ওপরে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি। তিস্তা নদের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর কাপাসিয়াসহ বিভিন্ন জেগে উঠা এলাকায় আবারও প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এতে হতাশ আর দু:চিন্তায় পড়েছে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো।

জেলায় এখনও পানিবন্দি হয়ে রয়েছে ৪০ হাজরেরও বেশি পরিবারের প্রায় লক্ষাধীক মানুষ। ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার ওপরে থাকায় দুর্ভোগ যেন পিছু ছাড়ছেনা বন্যা দুর্গতদের। পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষজন শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রকট আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। পানি কমার সাথে সাথে ভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে কয়েকটি এলাকায়। লোকজন আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছে। এবারের বন্যায় পানিতে তলিয়ে গেছে আউশ ধান, পাট, ভুট্টা, কাউন ও আমন বীজতলাসহ ২ হাজার ৫০০ হেক্টরের অধিক জমির ফসল। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। পানি ওঠায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ১৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ২৫ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি ২৪ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৩১ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তা নদীর পানি ৪০ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২১ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। করতোয়া নদীর পানি ১২ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১১৭সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, তিস্তা এবং করতোয়া নদীর পানি আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার উপরে রয়েছে। তাছাড়া সব নদ-নদীর পানিই বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বন্যার পানি উন্নতি হবে বলে জানান তিনি।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনো খাবারসহ নগদ টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। সরবরাহ করা হচ্ছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ চিকিৎসা সামগ্রী।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version