গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (১৫জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার টেংরা-বাদিয়াখালি সড়কে গোয়ালপাড়া এলাকার একটি চাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে পলাশবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান সাগর মিয়া (২০) নামের এক যুবক।
এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইেকেলে থাকা নাইমুর রহমান স্বচ্ছ (২০) ও সামিউল ইসলাম (২১) নামে অপর দুই যুবককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান স্বচ্ছ। অপরজন সামিউল সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত সাগর পলাশবাড়ি পৌর শহরের গিরিধারীপুর এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে ও স্বচ্ছ উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের দুবলাগাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে এবং চিকিৎসাধীন সামিউলের বাড়ি একই এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, ওই তিন যুবক বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে পলাশবাড়ী থেকে কাশিয়াবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। দুপুর ১২টার দিকে টেংরা-বাদিয়াখালি সড়কে গোয়ালপাড়া আব্দুল হালিম মিয়ার চাতালের সামনে পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এতে মোটরসাইেকেল থেকে ছিটকে পড়ে তিনজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাগরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত স্বচ্ছ ও সামিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। পরে রংপুর মেডিকেলে স্বচ্ছ মারা যান। অপরজন সামিউল সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পলাশবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, হাসপাতালে সাগর নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়। অপর দুই যুবকের অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) লাইসুর রহমান বলেন, এঘটনায় প্রথমে সাগর নামের এক যুবক নিহত হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বচ্ছ মারা যায়।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য