জামালপুরের মেলান্দহে গৃহবধূ মুক্তা বেগমের (২৫) হত্যার বিচার দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসি। সোমবার সকাল ১০টায় জামালপুর-ইসলামপুর মহাসড়কের টনকি বাজারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধবন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে যানঝটের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধন চলাকালে মুক্তার হত্যাকারি ঘাতক স্বামী খোকনসহ হত্যার সহযোগিদের সর্বোচ্চ বিচার দাবি করে বক্তব্য দেন, নিহত মুক্তার বাবা গোলাম মোস্তফা উস্তর, মাতা মর্জিনা বেগম, মামা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ, মামাত ভাই ডা. মেহেদী হাসান মেহের, সবুজ মিয়া প্রমুখ।
নিহত মুক্তার বাবা উস্তর মিয়া বলেন, আমার দুই মেয়ের মধ্যে মুক্তা বেগম (২৫)কে ৭/৮ বছর আগে ইসলামপুরের কাছিমা গ্রামের দুলু বেপারির ছেলে খোকন মিয়ার (৩৭) কাছে বিয়ে দেই। তাদের ঘরে ২ সন্তান আছে। ছোট সন্তাননের বয়স এক/দেড় বছর। আমার ছেলে না থাকার অজুহাতে আমার মেয়ের স্বামী খোকন মিয়া যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকদফা দেনদরবারও হয়েছে। ইতোমধ্যেই আমি জীবিকার তাগিদে আমি ঢাকায় চলে যাই। এ সময় আমার মেয়ে মুক্তা এবং তার স্বামী খোকনের কাছে ৫০ হাজার টাকা, আমার স্ত্রী মর্জিনার গহনাসহ মুল্যবান জিনিষপত্র রেখে যাই। কয়েকদিন পরেই গচ্ছিত টাকা গয়না বিক্রি করে আসামী খোকন। এ নিয়ে আমার মেয়ে মুক্তার সাথে স্বামী খোকনের বিবাদ হয়।
৯ জুলাই সকালে আমি ঢাকা থেকে মেয়ে মুক্তার কাছে ফোন করলে আসামী খোকন আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে দেয়নি। দুপুরের দিকে আসামী খোকন এক/দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে রহস্যজনকভাবে আমার বাড়িতে চলে আসে। কিছুক্ষণ থাকার পর আবার চলে যাবার আধা ঘন্টার পর খোকন ফোন করে মুক্তার মৃত্যুর খবর জানায়। ইসলামপুর থানা পুলিশ আমার মেয়ে হত্যার মামলা নেয়নি। পরে আমি জামালপুর নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা (নং-১৭০/২৪, তারিখ-১৪/৭/২৪) দায়ের করি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন তালুকদারকে মোবাইল করলে ওসি তদন্ত কবির হোসেন রিসিভ করে বলেন-স্যার অসুস্থ্য আছেন। মরদেহ উদ্ধারকারি এস আই দেলোয়ার হোসেন জানান-লাশের বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই মনে হয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য