-->
শিরোনাম

আনোয়ারার পারকি যেন ছোট কক্সবাজার

আনোয়ারা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
আনোয়ারার পারকি যেন ছোট কক্সবাজার
ক্যাপশন : চট্টগ্রাম পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ভিড়

কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়া যেমন সময় সাপেক্ষ তেমনি ব্যয় বহুলও। তাই কাছের বিনোদন স্পটগুলোতে মানুষ বেশি বেড়াতে যেতে চাই। তাই চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সমুদ্র সৈকতেও বাড়ছে পর্যটকের ভিড়।

এখানে এসে অনেকেই কক্সবাজার ভ্রমণ না করতে পারার আক্ষেপ কিছুটা হলেও মেটাতে পারছেন। চট্টগ্রাম শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারায় মানুষের ভিড় বাড়ছে । এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালুর পর জেলার বাইরে থেকেও অনেকে টানেলের পাশাপাশি পারকি সৈকত ঘুরতে আসছেন। এটি যেন এক ঢিলে দুই পাখি মারা।

পারকি সৈকত ঘুরে দেখা যায়, সৈকতের ঝাউবাগানের পাশে ঝিনুক বেচাকেনা আর ছোট ছোট খাবারের দোকান বসেছে। ভালো খাবার ও নাশতার জন্য সৈকতে গড়ে ওঠা তিনটি রিসোর্টে ভিড় করছেন পর্যটকরা।বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পারকি সৈকত এলাকায় ১৩ দশমিক ৩৩ একর জায়গায় শুরু হয় ৭৯ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এখনো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। কাজ পুরোপুরি শেষ হলে পারকি সৈকত পাবে নতুন চেহারা।

সৈকতে দেখা গেছে প্রচুর পর্যটকের ভিড়। শিশু কিশোরেরা সাগরে নেমে গোসল করছে। বেশির ভাগ পর্যটক বাস, মাইক্রো, সিএনজি অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল নিয়ে সৈকতে ঘুরতে এসেছেন। কুমিল্লা থেকে পারকি বেড়াতে এসেছেন এনামুল হক তিনি বলেন, কক্সবাজার আমাদের জন্য অনেক দূর, তাছাড়া টানেল দেখতে এসে কক্সবাজারের স্বাদ নেওয়ার জন্য এখানে এসেছি। পারকি আসায় সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়েছে।’ ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে আসা এনজিও কর্মী রাশেদুল মওলা বলেন, ‘আমরা বন্ধুরা একটু ছুটি পেলেই ঘুরতে বের হই। কক্সবাজার যেতে না পারলেও কক্সবাজারের ফিলিংস নিতে পারকিতে এসেছি। আবার সবাই মিলে পারকি সৈকতের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু টানেলও দেখলাম। পারকি সৈকত আসলেই সুন্দর।’ তবে এখানে পর্যটকদের জন্য সুযোগ সুবিধা অনেক কম।

সৈকত ছাড়াও এখানে এলে ঘুরে যেতে পারে হজরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.), হজরত আলী রেজা প্রকাশ কানু শাহ (রহ.), মিয়া হাজি দৌলত (রহ.)-এর মাজারসহ বেশ কয়েকটি মাজার। আছে চট্টগ্রামের সুন্দরবন খ্যাত গহিরা প্যারাবন, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, দেয়াং পাহাড়, ছুরুত বিবি ও মনু মিয়ার মসজিদ, মনু মিয়া ও চাঁদ সওদাগরের দিঘি। এ ছাড়া আছে যোগেশ চন্দ্র রায়, প্রসন্ন কুমার ও পরৈকোড়া ও বড় উঠান জমিদারবাড়ি, মেন্না গার্ডেন, সাঙ্গু নদীর মোহনা, রাবার ড্যাম, বন্দর বধ্যভূমি কমপ্লেক্স, আখতারুজ্জামান চৌধুরী স্মৃতি পার্ক, পুরোনো আবহাওয়া অফিস, বিমানবাহিনীর রাডার স্টেশন, বাতিঘর, হিলটপ পার্ক, জমিদারবাড়ি ও কেইপিজেড কারখানা।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন, ‘পারকি সৈকতে পর্যটকের নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে আমরা সব সময় তদারকি করি। নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version