সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় বাতিল এবং কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গাইবান্ধায় আওয়ামীলীগের অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। এতে জেলা, সদর ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১টার দিকে অগ্নি সংযোগ করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকাল ১১টায় দুই হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বড় মসজিদ থেকে বের হয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ডিবি রোডের এসপি অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। মিছিলটি আবার ও বড় মসজিদ থেকে ঘুরে ১ রেল গেটে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় শিক্ষার্থীর বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পরে যাত্রী সাধারণ। বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।
এরই এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আওয়ামীলী অফিসে প্রথমে ভাংচুর শুরু করে। পরে চত্তরের ৭ থেকে ৮টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের জানালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালায়। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র মতলুবর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, মোজাহিদুল ইসলাম রাসেল, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনসহ ৬ থেকে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর ফলে শহরের দোকান-পাট ও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহর জুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য