-->

বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি

বরিশাল প্রতিনিধি
বিপৎসীমার ওপরে বরিশালে ১০ নদীর পানি
বিভাগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১২টি নদীর মধ্যে ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি ২ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠিতে বিষখালী নদী বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২৪ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা নদী ৮৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে মেঘনা ১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ২১ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে বিষখালী নদী ৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর জেলার বলেশ্বর নদী ১৫ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদী বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়া বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে পায়রা ও ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বিভাগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিকে বন্যা বলা যাবে না। এটি মৌসুমি পানি প্রবাহ।

পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী বাসিন্দা আরশাদ আলী বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। আমরা যারা বেড়িবাঁধের বাইরে থাকি তাদের ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।’

পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার এক বাসিন্দা বলেন, ‘অসম্ভব রকমের পানি বেড়েছে। আমরা আতঙ্কে আছি; বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয়। থেমে থেমে বৃষ্টিতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা করেছে আমাদের।’

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version