-->

নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি

কামরুল হাসান রুবেল রাঙ্গামাটি থেকে ফিরে
নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির রূপের আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে ভীষণ প্রিয়

রূপের রানী খ্যাত রাঙ্গামাটির সৌন্দর্য পেখম মেলে সব ঋতুতেই। প্রকৃতির নিবিড় আলিঙ্গনে বাঁধা রূপের রানী রাঙ্গামাটির পরতে পরতে রয়েছে বৈচিত্র্য। নৈসর্গিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটির গহীন অরণ্য, পাহাড়ি প্রকৃতির রূপের আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে ভীষণ প্রিয়। রাঙ্গামাটির উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা-মিজোরাম, দক্ষিণে বান্দরবান, পূর্বে মিজোরাম ও পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি।

এ জেলা আয়তনের দিক থেকে দেশের সর্ববৃহৎ জেলা। নদী ও হ্রদ, উঁচুনিচু পাহাড়ি আকাঁবাকা পথ, সবুজ পাহাড় বেষ্টিত রিকশাবিহীন পর্যটন এলাকা। তাই তো দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন প্রকৃতির এ সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

যে রূপে মুগ্ধ হয় পর্যটকরা; সে রূপে রয়েছে সবুজ অরণ্যে ঢাকা পাহাড়, কাপ্তাই হ্রদের বয়ে চলা স্রোতধারা, প্রকৃতির আদি সৌন্দর্য। রাঙ্গামাটির আরও গহীনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য রূপের পসরা। তেমনই অনন্য এক সৌন্দর্যের নাম ‘ফুরোমন পাহাড়’। অপার্থিব সৌন্দর্যের এ পাহাড় আপনাকে বিস্মিত করবেই।

রাঙ্গামাটি শহরের অদূরে ফুরোমন পাহাড়ের অবস্থান। চাকমা ভাষায় ফুরোমনের অর্থ ফুরফুরে মন। এ পাহাড়ের চূড়ায় মন ফুরফুরে হয়ে যায় আর কাপ্তাই হ্রদের বিশাল জলরাশির দেখা মেলে পাহাড় থেকে। এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে।

নীল জলরাশির কাপ্তাই লেক, স্বচ্ছ নীলাভ জল আর বিস্তৃত আকাশ দেখে মনে হতে পারে পাহাড়ের মধ্যে সমুদ্রের তীরে পৌঁছে গেছেন। শীতল বাতাস ছুঁয়ে থাকে লেকের নীল জল, পাহাড় পেরিয়ে কাছে-দূরে কেবল নীল জলরাশি। পুরো সৌন্দর্যই এক লহমায় দেখে নিতে পারবেন। চারিদিকে ঝিঁঝি পোকার ডাক সামনে সবুজে ঘেরা পুরো রাঙ্গামাটি জেলা, অপার সৌন্দর্যে হারাতে আর কী লাগে! এখানে বাতাস আর নীরবতার খেলা চলে সর্বক্ষণ এ সৌন্দর্যের কথা শহরবাসী তেমন একটা জানে না।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version