-->

শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ২৬ বছর খোঁজ নেয়নি বাবা

বরিশাল প্রতিনিধি
শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ২৬ বছর খোঁজ নেয়নি বাবা
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নে শারীরিক প্রতিবন্ধী আয়শা বুশরা'র নানা মরহুম আঃ মান্নান শরীফ এর ওসিয়ত করা জমি বুঝিয়ে দিবেন বলে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয় চরমোনাই পীর হযরত মাওঃ সৈয়দ রেজাউল করিম।
 
এদিকে দীর্ঘ ২৬ বছর পর এসে সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন পিতা আবু ত্বোহা এমন অভিযোগ প্রতিবন্ধীর স্বজনদের।
 
শুধু বাবা নয় আয়শা বুশরার ছোট মামা হাবিবুর রহমানও থেমে নেই। এ সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে চলছে রাত দিন নানা কৌশল। প্রতিবন্ধী ভাগ্নীকে বুজিয়ে দিচ্ছেন না প্রাপ্ত সম্পত্তি ও বরাদ্দকৃত টাকা এমন অভিযোগ  আয়শা বুশরার স্বামীর।
 
১৯৯৬ সনে জন্ম নেয়া ছোট্ট শিশু শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় ফেলে চলে যায় প্রতিবন্ধীর পিতা আবু ত্বোহা। আয়শা বুশরার জন্মের পরেই মারা যায় বুশরার মা। তখন থেকেই দায়িত্ব নেয় বুশরার খালা ফাতেমা বেগম বুশরা অসুস্থতার কারনে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যাপক অর্থও ব্যয় করেন বুশরার খালা। আয়শা বুশরার ও তার দেখাশুনা করতে খালা ফাতেমা বেগম এখন অসুস্থতায় টাকার অভাবে চিকিৎসাও কারাতে পারছেনা।
 
এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েন আয়েশা বুশরার স্বামী মোহাম্মদ মোতাছের বিল্লাহ। তিনি বলেন, আয়েশা বুশারা (২৮) এর সম্পত্তি তার নানা মরহুম মাওঃ আঃ মান্নান শরীফ কর্তৃক ওসিয়তের মাধ্যমে যা আয়শা বুশরার বড় খালা ও শ্বাশুড়ি মোসাঃ ফাতেমা বেগম তার আপন ছোট ভাই মাওলানা হাবিবুর রহমানের নিকট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন প্রদান করেন। উল্লেখ্য যে মাওলানা হাবিবুর রহমান তার বড় বোন ও এতিম ভাগ্নির উন্নয়নের ওয়াদা করেন আপন বোনের থেকে দায়িত্ব নেন।
 
মাওলানা আব্দুল মান্নান শরীফের আত্মীয়-স্বজন ওয়ারিশগণ তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বন্টনের ওয়াদা করেন।
 
বিগত দিনের বুশরার নানার ওসিয়ত কৃত সম্পদ থেকে প্রাপ্ত আয় সু-নির্ধারণ পূর্বক তার অভিভাবকের কাছে প্রদানের ব্যবস্থা করা হলেও প্রাপ্ত টাকা বুজিয়ে দিচ্ছেন না বুশরার মামা । যদিও চরমোনাই পীর মাওলানা সৈয়দ রেজাউল করিম (৪/১১/২৩ ইং) শালিসী বৈঠকে তা চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করেন সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ এছাহাক মোঃ আবুল খায়ের কে বুজিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেয়। উল্লেখ আয়শা বুশরার বড় খালা ফাতেমা বেগম চরমোনাই পীর সাহেব বরাবর ১৭/৭/২১ সনে আবেদন'র প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক শালিসী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়।
 
এদিকে আয়শা বুশরার স্বামী মোতাছের বিল্লা বলেন, ওয়ারিশ প্রাপ্য সম্পত্তি বিষয়ে মামার কাছে জানতে চাইলে বুশরার মামা হাবিবুর রহমান বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে আচ্ছে।
 
এবিষয়ে অভিযুক্ত বুশরার মামা একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, ওয়ারিশ সম্পত্তি জন্য কোর্টে একটি বন্টন মামলা কোরেছি কোর্ট যা রায় দিবে আমি সেটাই মেনে নিব।
 
প্রতিবন্ধী বুশরার পিতা আবু ত্বোহা বলেন, আয়শা বুশরা আমার মেয়ে আমি এখন থেকে আমার মেয়েকে আমার বাসায় এনে রাখতে পারি এজন্য আমি কোর্টে মামলা করেছি।
 
চরমোনাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ জিয়াউর করিম বলেন, প্রতিবন্ধী বুশরার বাবা আবু ত্বোহা কখনোই তার খোজ নিতে দেখিনি বুশরার মা মারা যাবার পরই বুশরার বড় খালার কাছেই রড় হয়েছে বলে আমি জানি।
 
চরমোনাই পীর হযরত মাওঃ সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম সাহেব বলেন, প্রতিবন্ধী আয়শাকে তার বাবা তেমন একটা দেখাশুনা করতে দেখিনি,তবে বুশরার প্রাপ্য জমির বিষয়ে দেশে এখন যে পরিস্থিতি তা সাভাবিক হলে চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। 
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version