-->
শিরোনাম

টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের সরবরাহ কম,লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের সরবরাহ কম,লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের কম সরবরাহ থাকায় ঘনঘন লোডশেডিং দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ওয়াপদার চেয়ে পল্লী বিদ্যুতের আওতাভুক্ত এলাকায় বেশি লোডশেডিং হচ্ছে।

টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। জেলা শহরসহ ৭টি ডিভিশনে বিদ্যুতের প্রয়োজন ১৩৫/১৪০ মেগাওয়াট। সেখানে গ্রিড থেকে পাওয়া যাচ্ছে পিক আওয়ারে ১১৫ মেগাওয়াট। এতে ২৫-৩০ মেগাওয়াট লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে ভূঞাপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন গ্রাহকদের বিপরীতে সাধারণভাবে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের মধ্যে সরবরাহ করা হচ্ছে ১.৫ মেগাওয়াট। অনেক সময় দেশে বিদ্যুতের ব্যবহারে চাপ কম থাকলে সরবরাহ করা হয় ২.৫ মেগাওয়াট। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে গ্রামাঞ্চলের মানুষজন চরম ভোগান্তিতে পরার পাশাপাশি পোল্ট্রি খামার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। গরমে মুরগি মারা যাওয়াসহ ডিম উৎপাদন কম হচ্ছে। ফলে লোকসানে পড়েছেন খামারিরা। এ ছাড়া বিদ্যুতের অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে লো-ভোল্টেজে ইলেকট্রিক অনেক জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে।

পোল্ট্রি খামারিরা জানান, আন্দোলন ও কারফিউের কারণে পোল্ট্রি বাজারে ধস নেমেছে। সেইসাথে বিদ্যুতের অভাবে অনেক মুরগি মারা যাচ্ছে এবং ডিম উৎপাদন কম হচ্ছে। এতে অনেক খামারি ঋণগ্রস্ত হয়ে ব্যবসা ছেড়ে দিচ্ছে। অনেকেই আবার দাদন নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে মামলার শিকার হয়েছে।

গোবিন্দাসী বাজারের মোবারক হোসেন বলেন, একবার বিদ্যুৎ গেলে আর আসার খবর নেই। রাতে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়। ৫-৬ বার লোডশেডিং দেওয়া হয়। গরমে রাতে ঘুমানো যায় না।

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ভূঞাপুর সাব জোনাল অফিসের সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। চাহিদার চারভাগের একভাগ বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হয়। গ্রাহকরা অনেক কথা বললেও তাদের বুঝাতে হবে। ভুঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজন ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে ৮, কখনও ৯ আবার ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। উপজেলা শহরে একটু বেশি সরবরাহ করতে হয়। ফলে গ্রামাঞ্চলে একটু বেশি লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেলে বণ্টন করতে পারি না।

জেলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাচ্ছি। ফলে ৭টি ডিভিশনে ভাগ করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version