-->
শিরোনাম

শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও পেশাজীবী সংহতি বিক্ষোভ সমাবেশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও পেশাজীবী সংহতি বিক্ষোভ সমাবেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে সারা দেশে নির্বিচার হত্যা, ছাত্র-শিক্ষকদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিপীড়নের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষক শিক্ষার্থী অবিভাবক ও পেশাজীবী সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে নিপীড়নবিরোধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শিক্ষার্থী হত্যার বিচার ও সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করে তারা।

অভিভাবক মোছা. সোমা বেগম তার দুই সন্তানকে নিয়ে সমাবেশে এসেছেন। বড় মেয়ে গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ছোট মেয়ে অন্বেষা সিদ্দিকা প্রসুন আড়াই বছর বয়স। তাকে কোলে করে নিয়ে সমাবেশে সংহতি জানাতে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমার দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছি। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। সেজন্য যুদ্ধে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। মানুষ তার অধিকার কিভাবে আদায় করতে হয়, তাই দুই সন্তানকে দেখাতে নিয়ে এসেছি, কিভাবে আন্দোলন করে মানুষের অধিকার আদায় করতে হয়। ওরা জানুক। ২০২৪ সালের আন্দোলনের ঐতিহাসিক স্বাক্ষী হিসেবে আমরা স্বপরিবার এসেছি।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য দেন, অধ্যক্ষ মাজাহার -উল মান্নান, এ্যাড নওশাদুজ্জামান, এ্যাড, অধ্যাপক রোকেয়া খাতুন, মোস্তফিজুর রহমার মুকুল, এ্যাড মুরাদজ্জামান রব্বানী এ্যাড, ফারুক কবির, জাকিরুল আলম, গোলাম রব্বানী, জাহাঙ্গীর কবির তনু, গোলাম রব্বানী মুসা, শিক্ষাথী মোছা. মৃত্তিকা, স্বস্তিসহ অনেকেই।

বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের উপর গুলি করা বন্ধ করতে হবে। গণহারে গ্রেফতার করে পুলিশের বানিজ্য ও হয়রানি থেকে বিরত থাকতে হবে। ছাত্র - জনতার সকল দাবি মেনে নিয়ে সরকারকে পদত্যাগ করলেই সকল সমস্যা সমাবেশ হবে বলে দাবি করেন তারা। শেষে একটি বিক্ষেভ মিছিল বের করে শহর প্রদিক্ষণ করে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version