গাইবান্ধায় কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে আবারো প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তবে পানি বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বাড়লেও আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানান গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ৩টায় গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ সেন্টিমিটার।
এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ সেন্টিমিটার। ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৯৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ সেন্টিমিটার। করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৪০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় এ নদে পানি বৃদ্ধি পায়নি। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ জেলায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে আছেন নদী পাড়ের মানুষেরা। পানি বাড়ায় সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি, গিদারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, হরিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে আবারো পানি ঢোকার শঙ্কায় আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। চরের নিম্নাঞ্চলে আবারও পানি বন্দি হওয়ার শঙ্কা করছে বাসিন্দারা।
সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের পারদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা শাহ্ কামাল বলেন, কয়দিন আগেই এক বার যে বড় বন্যা হলো। সে বন্যার ঝুঁকি এখন কাটি উঠবার মারি নাই। আবার কয়দিন হলো নদীর পানি বাড়তিছে কি যে হয় বাহে। এমনি দেশের যে অবস্থা কেমনে যে কি করে বাঁচি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক মুঠোফোনে ভোরের আকাশকে জানান, উজান থেকে পানি আসছে এবং গত কয়েকদিন থেকে বৃষ্টিতে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত এ পানিতে বন্যার আশঙ্কা নেই। আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য