বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও সম্পদ রক্ষায় ও সাধারন জনগণের যাতে কোন ধরনের ক্ষতি না হতে পারে তার জন্য পাহাড়া দিতে হবে। দেশের শাসন ক্ষমতা থেকে চুত্য হয়ে আওয়ামী লীগ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে। আর এ জন্য তারা বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। এরা দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা করছে। যাতে করে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়। আওয়ামী লীগের এ উদ্দেশ্যকে সফল হতে দেয়া যাবে না।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবীতে বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচীর বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যদানকালে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় সড়কে জেলা বিএনপির সদস্য সচীব গাজী অহিদুজ্জামান লাভলুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম কিসমত, মো. শহিদুল্লাহ শহি, মো. সরোয়ার হোসেন, মো. কামরুজ্জামান চাঁন প্রমুখ।
জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন কুমার বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা ক্ষমতা চ্যুত হওয়ার পর থেকেই জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন জেলার ইন্দুরকানী, নাজিরপুর, পিরোজপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করছেন। আর এ জন্য জেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের দিয়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করছেন। আর এতে স্থানীয় ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য