কোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪ আগষ্ট শেরপুর জেলা শহরের খরমপুর মহল্লায় দুপুরের দ্রুতগতিতে এসি ল্যান্ডের একটি সাদা পিক আপ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর উঠিয়ে দিয়ে চলে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই গাড়ী চাপায় প্রাণ হারান আইটি উদ্দ্যোক্তা মাহবুব আলম। তিনি সদর উপজেলার তারাগর কান্দাপাড়া গ্রামের মিরাজ আলীর পুত্র। একই সাথে ওই গাড়ীর চাপায় প্রাণ হারান ঝিনাইগাতী উপজেলার জরাকুড়া গ্রামের শিক্ষার্থী শারদুল আশীষ সৌরভ। ওইদিন আরো তিন জন শিক্ষার্থী নিহত হন।
তারা হলেন, সদর উপজেলার বাগরাকশা মহল্লার বাসিন্দা তুষার আহম্মেদ, শহরের মীরগঞ্জ মহল্লার মিম আক্তার ও শ্রীবরদী উপজেলার রুপারপাড়া গ্রামের সবুজ আহম্মেদ। পুলিশের সর্ট গানের ৬ গুলি বিদ্ধ হয়ে আহত হন শেরপুর সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার পাগলারমূখ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রায় ৫০/৬০ জন।
গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার শরীরে ৬টি গুলি ঢুকে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ দিন চিকিৎসা দেয়। সেখানে ২টি গুলি বের করে দেয়।অবশিষ্ট ৪টা গুলি তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে থাকা সত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়। ওই ৩ দিন এক রুমে প্রায় ৫০/৬০ জন রোগী রেখে ছিল। চিকিৎসা শুধু ১টা এন্টাসিড ও ১টা প্যারাসিটামল ছাড়া তেমন কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি। শরীরে গুলি নিয়ে অসহ যন্ত্রনায় ভূগছি। বাড়ীর বাইরেও যেতে পারছি না।শুনতে পেলাম পাগলারমূখ বাজারে যে চিকিৎসকের দোকানে ব্যান্ডিস করেছিলাম তাকে নাকি ক'জন হুমকি দিচ্ছে। কেন আমার চিকিৎসা করেছিল। যে কারণে বাবা-মাকে নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
জাহাঙ্গীরের মা জাহানারা বেগম বলেন, ঝিনাইগাতী থানার ওসি সাহেবের কাছে একটি লিখিত দিয়েছি।তিনি আমার ছেলেকে দেখা করতে বলেছেন। বর্তমানে আমি ছেলেকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।অসুস্থ ছেলের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারছি না।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য