মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় শীতের আগেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে খাঁচায় মধু চাষ। এখানে খাঁচায় উৎপাদিত খাঁটি মধু যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। সরাসরি না দেখলে সেই মনোরম সৌন্দর্য উপলব্ধি করা কঠিন। উপজেলার বিভিন্ন মাঠের পাশে খাঁচা বানিয়ে মৌমাছি চাষ করছেন মৌচাষীরা।
সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মধুচাষিরা খাঁচা থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। বানিয়াজুরি সহ বিভিন্ন ক্ষেতের চারপাশে চলছে খাঁচায় মৌমাছির চাষ।
বগুড়া জেলা থেকে আসা মধু চাষি অহিদ বলেন, আমরা রানি মৌমাছি ছেড়েছি। রানী মৌমাছি ডিম পেরেছে। মৌমাছির জন্য এখন চিনি পানি মিশ্রণ করে খাদ্য বানিয়ে চাষ করছি।
মধুচাষি অহিদ আরো বলেন, চারমাস হলো আমরা ৪জন এখানে এসেছি। এখন চিনি পানি দিয়ে মধু সংগ্রহ করছি। চিনির দাম বেশি থাকায় লাভ কম হবে। গত বছরের তুলনায় এ বছর মধু উৎপাদন কম হয়েছে। এখানে শেষ হলে আমরা দিনাজপুরে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে চলে যাব।
তিনি আরো বলেন, এক কেজি খাঁটি মধু আমরা বিক্রি করছি ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়। এ মধুতে কোনো প্রকার ভেজাল মেশানো নেই। তাই দাম একটু বেশি। এ মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানি, শিল্প কারখানায় মধু বিক্রি হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য