গাইবান্ধা জেলা যুবদলের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লটুপাটের অভিযোগে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে নামীয় ৯৮ জন ও অজ্ঞাত আরও ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করা হয়।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে গাইবান্ধা সদর থানা থেকে এই মামলা দায়ের বিষয়টি জানানো হয়। সদর উপজেলার বাদিয়াখালি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সাবেক এমপি সরোয়ার কবিসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
এতে এজাহারে উল্লেখ করা হয়- গত ১৭ জুলাই বিকেল অনুমান ৪ টার দিকে এজাহার নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা হাতে লাঠি, সোঠা, লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে গাইবান্ধা সার্কুলার রোডস্থ বিএনপির অফিসের দক্ষিণ কোনে অবস্থিত জেলা যুবদল অফিসে হামলা করে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় ককটেল নিক্ষেপে বিস্ফোরণ ঘটায়। তারপর আসামিদের হাতে থাকা জেরিকেন থেকে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বাদিয়াখালি ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ও এই মামলার বাদি রফিকুল ইসলাম বলেন, গাইবান্ধা জেলা যুবদল অফিসে হামলার ঘটনায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারসহ সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, জেলা যুবদল অফিসের হামলার ঘটনায় আজ রোববার একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য