-->
শিরোনাম

চাকুরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভ, নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কে তীব্র যানজট

 সাভার প্রতিনিধি
চাকুরিপ্রত্যাশীদের বিক্ষোভ, নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কে তীব্র যানজট

ঢাকার নিকটবর্তী সাভারে অবস্থিত ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) সামনে আজ সোমবারও বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আজ সকাল থেকে বিক্ষোভের কারণে নবীনগর থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের উভয় পাশের অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন সংশ্লিষ্ট যাত্রী ও চালকেরা। বেলা একটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। ডিইপিজেডের ভেতরের অংশে বেশ কয়েকটি কারখানা ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেখানে সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেছে।

 

চাকরিপ্রত্যাশী ও ডিইপিজেডের কর্মকর্তারা বলেন, আজ সকাল থেকে পুরাতন ডিইপিজেডের সামনে শতাধিক লোক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের উভয় পাশে বাঁশ দিয়ে আটকে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। ডিইপিজেডের মূল ফটকের ভেতরের অংশে অবস্থান নেওয়া সেনাবাহিনী ও আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১–এর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। বেলা ১১টার দিকে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে গেলেও পরে আবার অবরোধ শুরু করেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ভোর থেকেই ডিইপিজেডের সামনে অবস্থান নেন চাকরিপ্রার্থীরা। কাজে যোগদানের উদ্দেশ্যে আসা বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের মূল ফটকে আটকে দেন তাঁরা। বেশ কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। এ ছাড়া নতুন ডিইপিজেডের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীও মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাকরিপ্রত্যাশী একজন নারী বলেন, ‘আমরা কোনো ঝামেলা করি নাই। আমরা চাই চাকরি। এখানে নারী-পুরুষ সবাইকেই সমানভাবে চাকরি দিতে হবে।

 

কয়েক দিন ধরেই আমরা আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি মানা হচ্ছে না।’ ডিইপিজেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রোববার চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভের একপর্যায়ে তাঁদের সিভি জমা দিতে বলা হয়। অনেকে সিভি জমাও দিয়েছেন। তবে বেশ কয়েকজন সিভি জমা না দিয়ে নিয়োগের বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলেন। আজ একাধিকবার তাঁদের নিয়ম অনুসারে সিভি জমা দিতে বলার পরও তাঁরা সিভি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তাঁদের (চাকরিপ্রত্যাশী) সিভি জমা দিতে বলা হলেও সিভি জমা দিতে চাচ্ছেন না। আমরা তাঁদের বুঝিয়ে সকালের দিকে কিছু সময়ের জন্য সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর আবার তাঁরা সড়ক অবরোধ করেছেন। আমরা পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছি।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version