-->
শিরোনাম

অতিদ্রুত ভিসি নিয়োগ ও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম চালুর দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
অতিদ্রুত ভিসি নিয়োগ ও ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম চালুর দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটেছে। এই সরকার পতনের পরবর্তীকালীন সময়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এর ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, প্রক্টর এবং কয়েকটি হলের হল প্রভোস্ট পদত্যাগ করেছেন।

রেজিস্টার তাঁর পদে পুনর্বহাল থাকা সত্ত্বেও ক্যাম্পাসে তিনি কোন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন না এবং ভার্সিটির সিন্ডিকেট কমিটিও সিন্ডিকেট মিটিং এর মাধ্যমে ক্লাস এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করার কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারছে না কারণ,গত ২১শে আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা আসছে, যে যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদত্যাগ করেছেন, সে সকল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত কোন ক্লাস বা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে না। 

এমন অবস্থায় ক্যাম্পাস সম্পূর্ণরূপে প্রশাসনহীন হয়ে পড়েছে এবং ক্যাম্পাসে একটি সংকটময় পরিস্থিতির  সৃষ্টি হয়েছে।  এই সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের আবাসিক হল দখল নেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। শোনা যাচ্ছে যারা হল দখল নিচ্ছে তারা ভার্সিটিরই স্টুডেন্ট কিন্তু  কেউই আন্দোলনের আগ পর্যন্ত হলে থাকতেন না, ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন মেস বা ছাত্রাবাসে  তারা অবস্থান করতেন এবং রাজনৈতিক দলের সাথে তাদের সম্পৃক্ততা আছে বলে জানা যাচ্ছে। আবাসিক হলের যে সকল রুমে ছাত্রলীগের নেতারা থাকতো সেই প্রত্যেকটা রুম তারা তালা ভেঙে দখল নিয়েছে এবং অবস্থান করছে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। 

ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন তাদের এই সকল কার্যক্রম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র  আন্দোলন পরিপন্থী,  কারণ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত করা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ সকল কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী যখন কথা বলে তখন দু-একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে  হল থেকে বের করে দেওয়ার মতো বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটেছে। অথচ এই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই হলে অবস্থান করতেন এবং সরাসরি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত।

এমন পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং যে সকল শিক্ষার্থী রাজনীতি ও অবৈধভাবে হল দখলের সাথে জড়িত, এই দুই পক্ষের মাঝে আন্ত কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে, যা অতি দ্রুত সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। এই সংকটময় পরিস্থিতি এবং সহিংসতা এড়াতে অতি দ্রুত ক্যাম্পাসে ভিসি নিয়োগ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম শুরু করা এখন সকল শিক্ষার্থীর দাবি। পাশাপাশি ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত করাও সকল শিক্ষার্থীর দাবী।

 

ভোরের আকাশ/সু/মি

মন্তব্য

Beta version