আকস্মিক বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা বিজয় চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শুটিবাড়ি মোড় স্মৃতি অম্লান চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘ভারতীয় আগ্রাসন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘বন্যায় যখন মানুষ মরে, আবরার তোমায় মনে পরে, যদি চাও মুক্তি, ছাড়ও ভারত ভক্তি, পানি নিয়ে রাজনীতি চলবে না চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মীর, রাব্বি, জাফর হোসেন জাকির, মাহফুজ, রাশেদ ইসলাম প্রমুখ।
জাফর হোসেন জাকির বলেন, তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আন্তর্জাতিক নদীর নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ যে পরিমাণে পানি পাওয়ার কথা দেশ স্বাধীনের অর্ধশত বছর পার করেও তা পায়নি। খড়া মৌসুমে শুকিয়ে মারে আর বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে মারে। সময় এসেছে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করার।
রাশেদ ইসলাম বলেন, আর ভারতীয় চক্রান্ত মেনে নেওয়া হবে না, রুখে দিতে হবে। বাংলার মানুষ আর বৈষম্যের শিকার হতে রাজি না। অবিলম্বে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার চুক্তি সমাধান করতে হবে। অন্যায়ভাবে যদি আর এক ফোটা পানি এদেশে আসে তার হিসাব ভারত দিতে হবে। আমরা আর বৈষম্য চাই না। ভারত এইভাবে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের কৃত্রিম বন্যা তৈরি করেছে। আমরা আর অন্যায় মেনে নিব না।
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এর প্রতিবাদ করব।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য