-->
শিরোনাম

মনপুরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

বিপ্লব রায়, ভোলা 
মনপুরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় জোয়ারের তাণ্ডব চলছে। প্রচণ্ড বাতাস ও মেঘনায় অতি জোয়ারের ৪-৫ ফুট পানিতে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ। জোয়ারে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ।

এছাড়াও জোয়ারের পানির চাপে মূল পাকা সড়ক ভেঙে উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলার ২নং হাজির হাট ইউনিয়নের দাসের হাট, চর মরিয়ম,সোনার চর সহ ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নাঈবের হাট, কাউয়ারটেক,৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলমবাজার,মাস্টার হাট ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের কোরালীয়া সহ ১০ গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাদিক মানুষ পানিবন্দী।

এদিকে বুধবার মেঘনার জোয়ারের পানিতে বিপৎসীমার ৬০-৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আলআমিন । তিনি জানান, মনপুরায় ২২০০ মিটার বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়। এছাড়াও ৪টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে গ্রাম পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ার থেমে গেলে ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।

অপরদিকে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার থেকে বিচ্ছিন্ন বেড়িবাঁধহীন নবগঠিত কলাতলী ইউনিয়ন। সেখানে ৫-৬ ফুট জোয়ারের পানিতে পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে বলে মোবাইল ফোনে জানান কলাতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদার। সেখানকার বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে চালে জানান।

শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, প্রবল বাতাসের সঙ্গে অতি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মেঘনায় অতি জোয়ারের তোড়ে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের সোনারচর পূর্বপাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়াও ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের দখিনা হাওয়া সি-বিচ সংলগ্ন বেড়িবাঁধ, সূর্যমুখীর উত্তর পাশ ও দক্ষিণ পাশের বেড়িবাঁধ জোয়ারের ভেঙ্গে গ্রাম পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।

বেড়িবাঁধ ভেঙে ও জোয়ারের পানিতে হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, চর মরিয়ম, সোনারচর, চরজ্ঞান, চরযতিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর ও দক্ষিণ সাকুচিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়। এছাড়াও মনপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আন্দিরপাড় গ্রাম ও পশ্চিম আন্দিরপাড় গ্রাম প্লাবিত হয়।

হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার ও ৪নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি উল্লা কাজল জানান, জোয়ারের পানিতে ৪ স্থানের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ইউএনও জহিরুল ইসলাম জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version