-->
শিরোনাম

পিরোজপুরে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে গুমের মামলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে গুমের মামলা

পুত্র গুমের অভিযোগ করে ক্ষমতাচুত্য সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুরে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুম হওয়া যুবক মো. সানির পিতা মো. বাবুল হাওলাদার রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

জানা গেছে, রবিবার (২৫ আগস্ট) পিরোজপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে গুম হওয়া যুবক মো. সানির পিতা মো. বাবুল হাওলাদার (৬০) বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এজাহার আকারে গ্রহনে পিরোজপুর সদর থানাকে নির্দেশ দেন। ওই মামলায় সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান , সরক্ষিত নারী আসনের (আসন-২৪) এমপি সানজিদা খানম, র‌্যাবের মহাপরিচালক (সাবেক-২০১৩) মোখলেসুর রহমান সহ র‌্যাব ও আওয়ামীলীগের ১৩ জনকে নামীয় এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ওই মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন পিরোজপুর বারের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আকন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারী রাত অঅনুমানিক পৌনে ১২টার দিকে জেলার সদর উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের বজলূ শিকদারের বাড়িতে থাকা বিএনপি কর্মী সানিকে র‌্যাব পরিচয়ে ওই বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ করা হয়।

মামলার বিবরনে জানা গেছে বাদী ও ভিকটিম ওই সময় ঢাকার ফরিদাবাদের কদমতলীতে থেকে সদর ঘাট লঞ্চ টার্মিনালে কুলির কাজ করতেন। ভিকটিম সানি বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মামলার প্রধান আসামী শেখ হাসিনার মদদে সাবেক এমপি সানজিদা খানম ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় গুম, খুন ও প্রাণ নাশের হুমকী দিতেন। এতে বাদী প্রানভয়ে পরিবার পরিজন সহ ঢাকা থেকে পিরোজপুর সদরের দূর্গাপুর গ্রামে তার ভায়রার বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

ঘটনার রাতে র‌্যাবের পোষাক পরিহিত ১৪/১৫ জন এবং সাদা পোষাকের ৫/৬ জন ওই বাড়ীর দরজায় কড়া নাড়লে বাদী দরজা খুলে দেন। তখন র‌্যাবের একজন সদস্য পুত্র সানি কোথায় জানতে চান। বাদী জানায় সানি বাড়ীতে নেই। বলার সাথে সাথে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে সানিকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায়। সানির বাবা বিভিন্ন সময় পিরোজপুর থানায় ও ঢাকায় র‌্যাব -১০ কার্যালয়ে ছেলের সন্ধান জানতে চাইলে তারা জানায় সানি তাদের কাছে নেই।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তিনি মামলা করতে গেলে ও র‌্যাবের কাছে ছেলের সন্ধান চাইলে পরে র‌্যাব তাকে ও পরিবারের অন্যন্য সদস্যদের করুন পরিনতি হবে বলে হুমকী দেন। তাই তিনি প্রাণভয়ে এতদিন মুখ খুলতে পারেননি।

তিনি তার ছেলের সন্ধান চান। তার ছেলের গুমের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা বিএপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন। এ সময় তিনি সংবাদিকদের জানা, সারা দেশে আওয়ামীলীগ খুন ও গুমের মাধ্যমে বিরোধী মতাদর্শের লোকজনকে প্রতিহত করেছে। এমন সকল হত্যার বিচার করতে হবে। এ সময় মামলার বিবরন পাঠ করে শুনান মামলার আইনজীবী ও পিরোজপুরের জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আকন।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version