-->
শিরোনাম

আনসাররা কি ধোয়া তুলসী পাতা

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
আনসাররা কি ধোয়া তুলসী পাতা

তারিখ ২৬/০৮/২৪ ইং রোজ সোমবার পুলিশ সদস্যদের উপর এককভাবে ঘুষ খাওয়ার দোষ চাপানো হয়েছে কিন্তু আনসাররা কি ধোয়া তুলসী পাতা--? কেউ ইলিশ মাছ কেউ পুঁটি মাছ পুলিশের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি থানায় এবং ঘুষ লেনদেনের কিছু কিছু চিহ্নিত নির্ধারিত অফিসে যেমন পাসপোর্ট, বিআরটিএ , এরকম অনেক অফিসে সরাসরি আনসার বাহিনী কে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এমনকি ভূক্তভোগী জনসাধারণ থেকে আনসারা সরাসরি ঘুষ লেনদেন করতে দেখা গেছে , কোনো কোনো অফিসে কর্মকর্তা দের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে অপকর্ম করতে দেখা গেছে আনসার দের রাজপথে রিকশাওয়ালাদের নিকট থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে আনসারদের অথচ দোষ দেওয়া হয়েছে শুধু মাত্র পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কাঁধে।

একতরফা নির্বাচনের সময়ও আনসাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার অভিযোগ রয়েছে।জাতির দৃষ্টি যখন বন্যাকবলিত দূর্গত এলাকার ভানবাসীদের উপর ঠিক সেই মুহূর্তে সচিবালয় ঘেরাও করে তাদের দাবী দাওয়া আদায়ের মুখ্যম সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে । অথচ জাতীয় দূর্যোগকালীন সময়ে আনসার বাহিনীকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বাধ্যতামূলক দায়িত্ব পালনের কথা।

সরকারের পক্ষ থেকে আনসারদের অন্যতম যৌক্তিক দাবি রেস্ট প্রথা বাতিল ঘোষণা করা হয় এবং অন্যান্য দাবীর ব্যাপারে ও আশ্বস্হ করা হয় তারপর ও সচিবালয় এর সবকটি গেইট অবরুদ্ধ করে রাখে আনসাররা ,সমন্বয়কদের ঘেরাও করে রাখা হয়েছে ।এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্ররা সচিবালয়ের সামনে একত্রিত হতে থাকে এবং প্রতিবাদে ফেঁসে উঠে, ছাত্রদের সাথে দফায় দফায় মারামারিতে লিপ্ত হয় আনসার সদস্যরা, সচিবালয় এলাকায় মারাত্মক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু ছাত্র এবং আনসার আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ৩৫/৪০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কে গ্রেনেড ব্যবহার করতে হয়েছে। দলে দলে ছাএরা সচিবালয়ের সামনে এসে পরলে আনসাররা কোন ঠাসা হয়ে পরে । যদি আনসার দের সবার কাছে আজকে অস্ত্র থাকতো তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম ও হতে পারতো ।

সচিবালয়ের ভিতরে আটকা পরা উপদেষ্টা মন্ডলী বৃন্দ এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের রাত দশটার দিকে বের হতে দেখা গেছে।অবশেষে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম হয় এবং বিদ্রোহী আনসার দের আত্মসমর্পণের পর প্রাথমিক ভাবে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

দেশের বিশেষ পরিস্থিতিতে এবং পুলিশ সদস্যদের পরিপূর্ণ ভাবে দায়িত্ব পালনে সক্রীয় হতে বিলম্ব হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আনসাররা ফায়দা হাসিলের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে জনমনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল স্তরের সদস্যদের প্রতি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আহ্বান জানাচ্ছি যে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে সর্ব প্রথম যে পুলিশ বাহিনী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বাংলাদেশ কে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পরেছিলেন এবং যুদ্ধে অনেক পুলিশ শহীদ হয়েছেন একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই -- দেশ ও জনগণের স্বার্থে একটি নতুন দিগন্তের প্রত্যাশায় আপনারা রাগ , অভিযোগ,অভিমান ভূলে দায়িত্ব পালনে সক্রীয় হউন ।

ফিরিয়ে আনুন সেই গৌরব, সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার বিতাড়িত করুন , রাজনৈতিক বলয় থেকে দূরে থাকুন সাধারণত জনগণের সত্যিকারের চাহিদা ও আইনগত লিগ্যাল সহযোগিতায় বন্ধু হয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করুণ।। পুলিশ জনগণের বন্ধু তা প্রমাণ করে দিন। নতুন করে নতুন দিগন্তের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করুন।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version