-->
শিরোনাম

চট্টগ্রামের এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ছাড়া পরীক্ষামূলক গাড়ি চলাচল শুরু

জেলা প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের এক্সপ্রেসওয়েতে টোল ছাড়া পরীক্ষামূলক গাড়ি চলাচল শুরু

৯ মাস আগে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় চট্টগ্রাম নগরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। কিন্ত উদ্বোধন হলেও গাড়ি চলাচল ছিল বন্ধ। গত ২৯ আগস্ট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে টোল ছাড়া গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে সাড়ে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই উড়াল সড়কে। তবে শুরুতে বাস, ট্রাক, অটোরিকশা চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না সেখানে। প্রাথমিকভাবে প্রাইভেট কার আর মাইক্রোবাস–জাতীয় গাড়ি চলছে। এক্সপ্রেসওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার।

এর আগে বেশ কয়েকবার যান চলাচল উন্মুক্ত করার কথা বলা হলেও টোল বুথ চালু না করায় সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পতেঙ্গা থেকে লালখানা বাজার পর্যন্ত গাড়ি উঠানামা করছে। তবে পূর্ণাঙ্গভাবে কবে নাগাদ গাড়ি চলবে, তা এখনো চূড়ান্তভাবে বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, লালখান বাজার থেকে গাড়ি ওঠার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর পতেঙ্গা থেকে ওঠা গাড়ি নামছে টাইগারপাসে। পতেঙ্গা প্রান্তে গাড়ি ওঠানামা করছে। প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচলের সুযোগ থাকলেও মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলাচল করতে পারছে না। এসব গাড়ি আসলেও প্রবেশমুখ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে সেখানে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা।

সিডিএ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি চট্টগ্রাম নগরের ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে’ এর উদ্বোধন করেছিলেন।

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এখন পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে কি না পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গাড়ি চলাচলের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রয়োজন। এছাড়া টোলের হার চূড়ান্ত করেনি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় যখন অনুমোদন দেবে তখন পূর্ণাঙ্গভাবে গাড়ি চলাচল শুরু করা হবে।

প্রসঙ্গত, সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফা সময় বৃদ্ধি করে মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল। এই সময়ে প্রকল্পের ব্যয় ১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। কিন্তু বর্ধিত সময়েও কাজ শেষ করতে পারেনি সিডিএ। এখন আরেক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত করার জন্য আবেদন করেছে সংস্থাটি।

 

ভোরের আকাশ/মি

 

মন্তব্য

Beta version