-->
শিরোনাম

মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন

ফেনী প্রতিনিধি
মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন

ছোট ফেনী নদীর ওপর মুছাপুর নামক স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৩ বোল্টের রেগুলেটর পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর পুনঃনির্মাণের দাবীতে ফেনীর সোনাগাজীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে সোনাগাজীবাসী।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনাগাজী পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

দৈনিক ইনকিলাবের সোনাগাজী প্রতিনিধি জসিম উদ্দিন আহমদ কাঞ্চনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইকবাল হোসেনের পরিচালনায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছাড়াও বক্তব্য দেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামছুদ্দিন খোকন, উপজেলা জামায়াত ইসলামীর আমির মাওলানা মোহাম্মদ মোস্তফা, সেক্রেটারী মো. বদরুদ্দৌজা, পৌর আমির মাওলানা কালিমুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের নেতা মাওলানা হিজবুল্লাহ প্রমুখ।

বক্তারা সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জসহ ৮টি উপজেলার ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি জোয়ারের লোনা পানি থেকে বাঁচাতে ভেঙ্গে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটরকে দ্রুত নির্মাণের দাবী জানান এবং দূর্নীতির মাধ্যমে নির্মাণ কাজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালীণ কর্মকর্তাদের দায়ী করে তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।

স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্মাণের সময় ব্যাপক দূর্নীতি করা হয়েছিল। যার কারনে সল্প সময়ের মধ্যে রেগুলেটরটি ভেঙ্গে পড়েছে। বার বার স্থানীয় জনগনের সমালোচনার মুখে তৎকালীন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়।

সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমানায় ছোট ফেনী নদীর ওপর ২০০৫ থেকে ২০০৯ সালে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ ভোল্টের রেগুলেটরটি নির্মান করা হয়। সোনাগাজী ও নোয়াখালী এলাকার ১ দশমিক ৩০ লক্ষ হেক্টর জমির ফসলকে লবনাক্ততা থেকে সুরক্ষা এবং জোয়ারের পানি থেকে এ সমস্ত এলাকাকে সুরক্ষার জন্য জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে মুছাপুর ২৩ দরজা বিশিষ্ঠ রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক উজানের পানির ঢলের চাপে থাকায় ২৬ আগস্ট সকালে রেগুলেটরটি ভেঙ্গে গিয়ে স্থানীয় জনগনের মাঝে উজানের পানি নিয়ে উৎকন্ঠা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।ইতিমধ্যে কয়েকটি বাড়ি ও ফসলী জমি নদীতে তলিয়ে গেছে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version