-->
শিরোনাম

টিআর প্রকল্পের টাকা ইউপি সদস্যের পকেটে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
টিআর প্রকল্পের টাকা ইউপি সদস্যের পকেটে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির প্রকল্পের কাজ না করেই পুরো টাকা হরিলুট হয়েছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের প্রকল্প ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। প্রকল্পের কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়ায় স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 
 
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার জাহাঙ্গিরপুর  ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) কর্মসূচীর ৩য় পর্যায়ে জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে ইউনিয়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের সিডস্টোর বাজার হইতে ভূইয়া বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ষাট হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। প্রকল্পের কোন কাজ না করেই  প্রকল্পের সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো.কবির হোসেন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রকল্পের সভাপতি কবির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসে দেখে গিয়েছে। কিন্তু স্থানীয় এলাকাবাসী রায়হান মিয়া,মামুন মিয়া, মিতুনসহ আরো অনেকেই বললে তারা বলেন এ রাস্তায় কোন কাজেই হয় নাই। 
 
গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি.আর) কর্মসূচীর ৩য় পর্যায়ে জাহাঙ্গীরপুর বাতুয়াদী বসরের বাড়ী হতে জিলু মিস্ত্রির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে এক লাখ ৯০হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোছ.শিল্পী আক্তার প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন।
 
প্রকল্পের সভাপতি সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রাস্তায় ছোট-বড় অনেক গর্ত ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার টাকায় কী রাস্তার গর্ত ভরাটের কাজ করা যায়।স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন মহিলা (মেম্বার) রাস্তার ১০% কাজও করেনি তিনি। মাঝে মধ্যে দু একটা গর্ত বিট বালু দিয়ে ভরাট করেছেন। জিলু মিয়ার বাড়ি হইতে মম মেস্তরীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে ৬০হাজার টাকা বরাদ্দ ছিলো। ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ মোস্তাক প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন। প্রাকল্পের সভাপতি বলছেন ব্যবস্থাপন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছেন পরে বিল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে প্রকল্পের কাজ গলদ। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ৩য় কিস্তি নগদ অর্থ প্রকল্পে বরিল্যা জাহাঙ্গীরপুর এলজিইডি রাস্তা হতে বরিল্যা দুবাকান্দা এলজিইডি রাস্তা পর্যন্ত রাস্তা মেরামত প্রকল্পে দুই লাখ চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মজিদ প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন।
 
প্রকল্পের সভাপতি সাথে কথা বললে,তিনি বলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসে দেখে গেছে।প্রকল্পের কাজ না করেই  টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে, কোন সৎ উত্তর মেলেনি।  
 
এ বিষয়ে  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহসান উল্লাহ্ ফোনে মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলেও। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version