-->
শিরোনাম

রাতের আঁধারে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
রাতের আঁধারে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তবে পরিবর্তন নেই একটি নদী বেষ্টিত ও চর-অঞ্চল এলাকার। আগে যেমন ছিল এখনো তেমন আছে। বলছিলাম কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার কথা। এ উপজেলায় রাতের আঁধারে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে প্রায় সপ্তাহ জুড়ে একটি চক্রের বিরুদ্ধে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দিনের বেলায় ওই চক্রের ড্রেজারগুলো পার্শ্ববর্তী এলাকা গজারিয়া ও সোনারগাঁওয়ের বিভিন্ন স্থানে পার্কিং থাকে। দিন ঘনিয়ে রাত গভীর হলেই ড্রেজার যথাস্থানে বসিয়ে শুরু হয় পুনরায় বালু উত্তোলন। এমন অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙনের কবলে পড়েছে নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা।
 
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচর এলাকার দক্ষিণে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। তারা প্রতিদিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে পরদিন সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বালু উত্তোলন করেন। এতে নদী ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ছেন রামপ্রসাদের চর, নলচর ও চালিভাঙ্গা বিস্তীর্ণ জনপদের বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এদের প্রতিহত করা খুবই কঠিন। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নেই। এরা দুই-তিনমাস পরপর ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ ড্রেজার চালায়। আর মধ্যরাতে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণও হারাতে হতে পারে। যার কারণে আমরা প্রতিবাদ থেকে বিরতি নিয়েছি। তার চেয়ে ভালো নদী ভাঙনের অপেক্ষায় থাকা, আর ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া। পরে সরকার কিছু অনুদান দিলে বউ-বাচ্চা নিয়ে ভালোই দিন কাটবে।
 
এদিকে মহিলা যুবদলের মাহবুবা ইসলাম মিলির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে জানা যায়, বিএনপি- আওয়ামী লীগ এই দুই গ্রুপ মিলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এদের মধ্যে ওই এলাকার বিএনপি পন্থি আব্দুল বারেক ও তার ছেলে মহোসিন ও হাসনাত, মৃত হাবিবুল্লার ছেলে রবিউল্লাহ প্রকাশ রবি ও ইব্রাহীম, রবিউল্লার ছেলে হিমেল, লালচানের ছেলে খলিল, জুলহাসের ছেলে রূপ মিয়া ও সোনা মিয়ার ছেলে আমজাদ। আওয়ামী লীগ পন্থি মজুদ্দীন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন, আব্দুর রশীদের ছেলে জাকির হোসেন, আক্কাস আলীর ছেলে টিটু ও হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাব্বির হোসেনসহ আরো অনেকেই। তিনি বলেন- অপরাধ দমনে নাম প্রকাশ করায় হয়ত আমার হুমকির মুখে থাকা লাগতে পারে। তারপরও আমি কাউকে অপরাধ করতে দেবো না।
 
এ বিষয়ে মেঘনা ইউএনও রেনু দাস আমাদের এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমি আপনার কাছে এই প্রথম শুনলাম। আমি এ ব্যাপারে অবগত না। কেউ আমাকে অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version