-->
শিরোনাম

শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা

ভোরের আকাশ ডেস্ক
শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও  শেরপুরে শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন কড়িতলা সংলগ্ন শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে শহরের মুজিব সড়ক, চৌরাস্তা ও এসএস রোডসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে একই স্থানে শেষ হয়।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বলেন, গত ১৬ জুলাই এর পর থেকে স্বৈরাচারী সরকার পতনের আগ পর্যন্ত আমরা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। তবুও আমাদের আন্দোলন কেউ দমিয়ে রাখতে পারেনি। শুধুমাত্র আমাদের ঐক্যবদ্ধতার কারণে। আমাদের একার পক্ষে কোন কিছুই করা সম্ভব নয়।

শেখ হাসিনা ও তার দোষরা নির্বিচারে বহু শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা ও আহত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

পরে শহীদদের স্মরনে ১ মিনিটের নিরবতা ও দোয়া করা হয়।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে মানিকগঞ্জের খালপাড় এলাকায় শহীদ রফিক চত্বরে শহিদি মার্চ আয়োজন করা হয়। মানিকগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত শহীদি মার্চে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

এসময় মানিকগঞ্জের সমন্বয়ক ওমর ফারুক, রমজান মাহমুদ, আশরাফুল ইসলাম রাজু,মেহরাব,মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেরপুর প্রতিনিধি জানান, আজ দুপুরে শেরপুর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আয়োজনে শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূণরায় কলেজে এসে শেষ হয়।

এসময় শহীদী মার্চে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশীদ, ডায়াবেটিকস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, সমাজ-কর্মী তাহমিনা জলি, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সদস্য মো: জিতু, তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, সোহানুর রহমান সোহান, মনি আক্তার সহ কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি মিছিল বের করেন বাকৃবির বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবন প্রদক্ষিণ করে কে. আর মার্কেট হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়।

এসময় নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাকৃবির প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন।
 
মোনাজাতে অংশ নেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হাম্মাদুর রহমান, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের  অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া, মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. হারুন-অর-রশিদ, বাকৃবির বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রভোস্ট ও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version