-->
শিরোনাম

পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে বাদাম চাষে সফল কৃষক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে বাদাম চাষে সফল কৃষক
অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে দরিদ্র চরবাসীর

অনাবাদি পদ্মার চরে চিনা বাদাম চাষ করে এবছরও ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের চরাঞ্চলের চাষীরা। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী, মরিচা ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর বিস্তীর্ণ চরে সোনলী ফসল বাদাম চাষ করে সাফল্যের অর্থ ঘরে তুলেছেন তারা। অর্থকরী এ ফসল চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে দরিদ্র চরবাসীর। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ক্ষতিকর তামাক চাষ না করে অর্থকরী বাদাম চাষে আরও বেশী আগ্রহী হবেন তারা।

পদ্মার চরজুড়ে বালির নীচ থেকে টান দিলেই উঠে আসছে থোকা থোকা দানাভরা সোনালী ফসল বাদাম। জেগে ওঠা পদ্মা নদীর বুক জুড়ে এক সময় মাইলের পর মাইল ধুধু বালু চর লক্ষ্য করা যেত। যা চরবাসীদের কোন কাজেই আসতো না। কিন্তু গত কয়েক বছর পূর্বে স্বল্প পরিসরে চাষীরা চিনা বাদামের চাষ শুরু করেন। তারা সাফল্য পাওয়ায় ক্রমান্বয়ে লাভজনক এ অর্থকরী ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়েছে।

চলতি মৌসুমে চরাঞ্চালে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে চিনা বাদামের চাষ হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬-৮ মণ হারে ফলনও হচ্ছে। ২৫’শ টাকা মণ বিক্রয় করে খরচ বাদ দিয়ে লাভ হওয়ায় দরিদ্র চাষীদের সংসারে সুদিন ফিরেছে।

কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে চরজুড়েই অর্থকরী ফসল বাদাম চাষ করে সারা বছরের অর্থের যোগান দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর গ্রামের বাদাম চাষী সাইদুর রহমান।

এদিকে বাদাম ক্ষেতে কাজ করে দিন মজুররাও খুশি। তারাও কৃষকের বাদাম ক্ষেতে গাছ থেকে বাদাম ঝরিয়ে প্রতিদিন প্রায় আড়াইশত থেকে তিনশত টাকা আয় করেছেন। আর এমটাই জানলেন আয়েসা খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক।

বাদামের ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় চাষীদের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও খুশি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় প্রনোদনা দেওয়ায় এ বছর বাদাম চাষে ভাল ফলন হয়েছে। তামাক চাষে অনাগ্রহী করতে আর চরের অনাবাদি জমি বাদাম চাষের আওতায় আনা যায় সে লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান।

তিনি বলেন, দৌলতপুরের পদ্মাচরে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমিতে কোন ফসল হয় না। এসব জমি বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে একদিকে যেমন চরের দরিদ্র কৃষকদের মুখে হাসি ফুটানো সম্ভব হবে, অপরদিকে অর্থকরী ফসল বাদাম চাষ করে সারা বছরের আর্থিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে এমনটাই মনে করেন চরবাসী।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version