-->
শিরোনাম

আশুগঞ্জে ৩৬০০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ

আশুগঞ্জ প্রতিনিধি
আশুগঞ্জে ৩৬০০ হেক্টর জমিতে আমন রোপণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে রোপা-আমন ধান চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে কৃষকরা। জমি তৈরি, চাষাবাদ আর জমিতে চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এরই মধ্যে শ্রাবণের একটানা কয়েকদিনের বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আমন ধানের আবাদ শুরু করেছেন। কখনও রোদ আবার কখনও বৃষ্টিকে উপক্ষো করে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আমন চাষকে ঘিরে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে যেন এখন উৎসব শুরু হয়েছে। তবে তীব্র দাবদাহে আর বৃষ্টির অভাবে আশুগঞ্জের কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণের ভরা মৌসুম হলেও জমিতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় আমনের বীজতলা তৈরি নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। কিন্তু, কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সে সমস্যা অনেকটা কেটে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমির আইলে কোদাল দিয়ে কোপাচ্ছেন। কোথাও কোথাও মাঠ সমান করার জন্য শ্যালোইঞ্জিন চালিত পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে মইয়ের কাজ। কোনো কোনো স্থানে পাওয়ার টিলার ছাড়াও কৃষকরা নিজেই মই টেনে জমি সমান করার দৃশ্য দেখা গেছে। আবার কোথাও আমন ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। কেউ আবার জৈব সার জমিতে দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে তৈরি জমিতে বৃষ্টির পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। রোদের গরমে কৃষকদের শরীর থেকে বইছে ঘাম, মাথায় বেঁধে রেখেছেন গামছা।

স্থানীয় কয়েকজন কৃষক শ্রমিক বলেন,আমাদের আশুগঞ্জ উপজেলায় জমিগুলোতে বছরে ২/৩ বার ধান আবাদ হয়ে থাকে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদি আবহাওয়া ধান চাষের অনুকূলে থাকে, এ বছর ধানের ফলন ভালো হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় কৃষকরা।

আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদ মো. হাসিব আব্দুল্লাহ জানান আশুগঞ্জ উপজেলায় এবার রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৬শ হেক্টর জমি। এ পর্যন্ত ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ১৫শ হেক্টর। তবে আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রতিদিন কৃষকের কাছে গিয়ে ধান চাষে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version