-->
শিরোনাম

ভুলি খালের অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করলো প্রশাসন

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
ভুলি খালের অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করলো প্রশাসন
ক্যাপশন: প্রশাসনের উদ্যোগে খাল থেকে বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে

গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দী ইউপি‘র ৯ নং ওয়ার্ডের ভুলি খালে মাছ শিকারের বাঁধ অপসারণের ফলে স্থানীয়দের দুর্ভোগের অবসান করা হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে খাল থেকে বাঁধ/ঘেরটি অপসারণ করা হয়েছে।

তথ্যের সতত্যা নিশ্চিত করেন গজারিয়া ইউএনও কোহিনুর আক্তার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি‘র আড়ালিয়া ও আবদুল্লাহপুর গ্রাম সংলগ্ন ভুলি খালের আড়ালিয়া গ্রামের পাশে আড়াআড়ি পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে আনুমানিক ২শ‘ ফুট দৈর্ঘের অবৈধ বাঁধ প্রস্তুত করে খাল বন্ধ করে দেয়া বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, বালুয়াকান্দী ইউপি বিএনপি নেতা মনির হোসেন বলেন, স্থানীয় শতাধিক কৃষক পরিবারের এক হাজার বিঘার অধিক ফসলি জমি অনাবাদী রয়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরী হয়েছিল এই বাধের কারণে। সাথে সাথে খাল থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করার স্থানীয় কয়েক শ জেলে পরিবারের জীবনে নেমে এসেছিল দুর্ভোগ। গত কয়েক বছর যাবৎ স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি রুপ মিয়ার পরিবারের নেতৃত্বে তার আত্বীয়-স্বজন মিলে অবৈধ উপায়ে খালে মাছ শিকারের বাঁধ ও ঘের তৈরী করে লাখ লাখ টাকা আয় করলেও চলতি বছর যথা সময়ে বাধ না সড়ানোর ফলে ওই খালের উত্তর প্রান্তের দিকে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে জমে থাকা কচুরী পানা সরানোর পথ বন্ধ হওয়ায় ফসলি জমি অনাবাদী থাকার সম্ভবনা তৈরি হয়েছিল। গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের কোন অনুরোধেও খাল থেকে বাধ সড়ানো যাচ্ছিল না। এ বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খালটি অবৈধ দখলদার মুক্ত হলো।

বালুয়াকান্দী ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রাম সংলগ্ন পূব পাশের ভুলি খালটি দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে মিশছে মেঘনা নদীতে। ভুলি খালে অবৈধ ঘের ও বাঁধ দেয়ায় বিপাকে পড়েছিল।

জানা যায়, আড়ালিয়া গ্রামের হক মিয়ার বাড়ির ঘাট থেকে ভুলি খালের উপর দিয়ে আব্দুল্লাহপুর গ্রামের নদীর পাড় রাস্তা আনুমানিক ২শ ফুট পর্যন্ত বানা জাল দিয়ে ঘের ও বাঁধ দেয়া হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নদীতে ঘের স্থাপনের ফলে জমির কচুরিপানা সরানো অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। অপরদিকে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাসহ প্রায়ই ঘটতেছিল নৌ-দুর্ঘটনা। প্রকৃত জেলেরা বঞ্চিত হচ্ছিল উন্মুক্ত ভুলি খালের মাছ শিকারের অধিকার থেকে। অবৈধ ঘের বাঁধের বালি আটকে খালের গভীরতা হারিয়ে ভরাট হলে পরিবেশ প্রতিবেশ পড়েছিল হুমকিতে। খালের ওপর দেয়া বাধ অপসারণের ফলে স্বস্তি ফিরেছে কয়েক শ কৃষক ও জেলে পরিবারে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, নদী বা খালে বানা বা জাল দিয়ে ঘের দেয়া নিষিদ্ধ। মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ বিধিমালা -১৯৮৫ এর ধারা ৩ এর উপধারা ১ এ বলা আছে কোন ব্যক্তি নদ-নদী, খাল- বিলে ফিক্সড ইঞ্জিন বা স্থিরকৃত ইঞ্জিন ব্যবহার করে মাছ ধরতে পারবে না।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version