চট্টগ্রাম নগরীর শাহ আমানত নতুনব্রিজ এলাকার কোনো ধরনের পূর্ভ ঘোষণা ছাড়াই দক্ষিণ চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কোনো বাস চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়নি। এছাড়া কক্সবাজার থেকেও কোনো গাড়ি চট্টগ্রামে প্রবেশ করেনি। তবে কী কারণে, কেন এই বাস চলাচল বন্ধ সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাইন নিয়ন্ত্রণে শ্রমিকদের দুপক্ষের সংঘর্ষ ও বিরোধের জেরে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, গত শনিবার রাতে ঈগল পরিবহনের চালককে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দোহাজারী কসাইপাড়া এলাকায় মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন চালকরা।
এদিকে, কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধ করে রাখায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। বন্ধ রাখা হয়েছে সব বাস কাউন্টার।
অন্যদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলের কদর বেড়ে গেছে। অটোরিকশায় দোহাজারী, আমিরাবাদ ও কেরানিহাট পর্যন্ত জনপ্রতি তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ এবং মোটরসাইকেলে জনপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করছেন। তবে অনেকেই প্রয়োজনের কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া গুনেই গন্তব্যস্থলে ছুটেছেন।
শাহ আমানত ব্রিজে আসা কক্সবাজারের যাত্রী মো. আইয়ুব বলেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসে দেখি বাস চলাচল বন্ধ, কাউন্টারও সব বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে কী কারণে, কেন কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাদেরকে জিম্মি করে এভাবে আন্দোলন করা যুক্তিসঙ্গত না।
জুবায়ের আহমেদ নামে এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোনোরকম পূর্বঘোষণা ছাড়া গাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। কিছু হলেই সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করা হয়। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর হওয়া প্রয়োজন।
এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য