-->
শিরোনাম

বরিশালে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের দ্বি-বার্ষিক ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশালে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের দ্বি-বার্ষিক ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নগরী অশ্বিনী কুমার টাউন ফলে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, ও বরিশাল জেলা শাখার আয়োজনে ব্যক্তি পরিবার সমাজ রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সর্বত্র ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামের করণীয় শীর্ষক দ্বি- বার্ষিক ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত ওলামা সম্মেলনে মাওলানা আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার, আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি মিজানুর রহমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বরিশাল বিভাগ।

প্রধান অতিথি মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই বক্তব্য বলেন,ইসলাম সত্য সুন্দর দেশ গড়ার পক্ষে।

জনগণ অতীতের প্রতিহিংসার রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে লুটেপাট করে খেয়েছে, দেশে প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রচলন করে দেশকে ভয়াবহতার দিকে নিয়ে গেছে সেই আওয়ামী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জনগণ। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারিত্বের অবসান চায়। যদি কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চায় ফিরে যেতে চায় ছাত্র-জনতা পূনরায় তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে। তিনি নব্য চাঁদাবাজ, দখলবাজ, অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের দমন করতে সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত যৌথ অভিযান শুরু করার আহ্বান জানান। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার এরশাদ এর পতন ও সর্বশেষ ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থান- সর্বক্ষেত্রেই গণমানুষের ক্ষোভ, অপ্রাপ্তি ও জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মূল আকুতি ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের। সাধারণ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পাশাপাশি প্রত্যেকটা আন্দোলনেই আলেম-ওলামাদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য বিগত দিনে আলেম সমাজকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। বিগত দিনে ফ্যাসিবাদী সরকার আলেমদের কন্ঠরোধ করতে ব্যাপকহারে শোষন- নিপীড়ন চালিয়েছেল। তারপরেও আলেম সমাজ সর্বদা ন্যায় ও দেশের পক্ষে কথা বলেছে। তাই দ্বিতীয় স্বাধীন বাংলাদেশে আলেম সমাজের উপর আর যেন দমন পীড়ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আগামীতে ইসলামের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশের মানুষের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন তথা ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বরিশাল মহানগর সভাপতি প্রফেসর লোকমান হাকিম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা সহ-সভাপতি শেখ সামছুল আলম মিলন, মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা আবুল খায়ের আশরাফী, জেলা অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক এস এম রফিকুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আরিফুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ সানাউল্লাহ সহ জেলা ও উপজেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।

সম্মেলন শেষে প্রধান অতিথি আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ২৪-২৫ সেশনের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করেন।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version