-->
শিরোনাম

চট্টগ্রাম বন্দরে ২ বিলাসবহুল গাড়িসহ ৫০ পণ্য নিলামে উঠবে বুধবার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বন্দরে ২ বিলাসবহুল গাড়িসহ ৫০ পণ্য নিলামে উঠবে বুধবার

চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা দুটি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে তোলা হবে বুধবার। গাড়ি দুটির একটি ১৬ কোটি টাকা দামের মার্সিডিজ বেঞ্জ ও ৫ কোটি টাকা দামের ল্যান্ড ক্রুজার। এছাড়া একইসঙ্গে আরো ৫০টি পণ্য নিলামে বিক্রি করা হবে। ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি আ.লীগের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলী আশরাফ শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছিলেন।

জানা গেছে, নিলামে উঠবে এমন ৫০ পণ্যের মধ্যে রয়েছে- ফ্লোর টাইলস, ডেনিম ফেব্রিক্স, সোডিয়াম সালফেট, কটন, আম-আপেল ও আনারসের জুস ও পলিস্টার। এর মধ্যে ফ্লোর টাইলসের নিলামের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে এক কোটি ৪৩ লাখ টাকা, ডেনিম ফেব্রিক্সের এক কোটি ২৫ লাখ টাকা, সোডিয়াম সালফেটের ৯৯ লাখ টাকা, কটনের ৮৮ লাখ টাকা, জুস ৭২ লাখ টাকা এবং পলিস্টার ৯৩ লাখ টাকা। দুটি গাড়ির মধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জের নিলামের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ও ল্যান্ড ক্রুজারের ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

বন্দর সূত্র জানায়, ঢাকার বারিধারার গাড়ি বিপণনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি করা ১৬ কোটি টাকার মার্সিডিজ বেঞ্জটি। আর ৫ কোটি টাকার ল্যান্ড ক্রুজারটি আমদানি করেছিলেন কুমিল্লা-৭ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য আলী আশরাফ। তিনি ২০২১ সালের ৩০ জুলাই মারা যান। সেসময় শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িটি আমদানি করা হলেও মৃত্যুর পর গাড়িটি খালাস নেওয়া হয়নি।

কাস্টমস সূত্র জানায়, এসব পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দুটি গাড়িসহ আরও বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্য আছে। এসব পণ্য বিভিন্নসময় আমদানি করা হলেওে খালাস নেয়নি। আমদানিকারককে বারবার নোটিফাই করার পরও যেহেতু খালাস নেয়নি, সেজন্য এগুলো নিলামে চলে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, বিলাসবহুল গাড়ি দুটি গাড়ি নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও বন্দরের ইয়ার্ডে এখনো ৩৯৯টি গাড়ি নিলামযোগ্য অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া আমদানির পর যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের কারণে বন্দরের ইয়ার্ডে স্থান সংকট তৈরি হয়েছে।

উল্লেখ্য, এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮৮ সালের ২৪ মে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির সুযোগ দেয়া হয়। এরশাদের পতনের পরও এ সুযোগ বহাল থাকে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাদের পাঁচ বছরের মেয়াদে একটি করে গাড়ি আমদানি করতে পারেন।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version