বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, যতদিন এই খুনী স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ ও তাদের দোষদের এই গণহত্যার বিচার না হচ্ছে, ততোদিন পযর্ন্ত এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন নৈতিক অধিকার রাখে না।
তিনি বলেন, আমরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ওই স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টরা বাদে সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিলাম। এই অভ্যূত্থানে আমাদের অসংখ্য ভাই-বোন যারা নিহত হয়েছে, তাদেরকে নিয়ে এখন আবার মামলা ব্যবসা শুরু হয়েছে। কুচক্রী গ্রুপ নিরীহ লোকজনকে আসাসী করে আবার তাকে নাম কাটানোর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা দাবী জানিয়েছি, তদন্ত ছাড়া এবং কোন অপরাধে সম্পৃক্ততা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।
বুধবার বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের মুক্ত মঞ্চে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এক মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম এসব কথা বলেন। দুর্নীতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, যারা দুর্নীতিবাজ, হোক জেলা প্রশাসক, হোক সচিব, যত বড়ই অফিসার হোক না কেন, তারা ঐ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা, সালমান এফ রহমান, ডিবি হারুনসহ গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ওরায়দুল কাদেরের মতো নেতাদের পরিণতি দেখুন। তিনি আরও বলেন, একটি চক্র রয়েছে, যে চক্রটি এই ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধকে ফাটল ধরাতে চায়। জুলাইয়ের অভ্যূত্থান ছিল এমন একটি অভ্যূত্থান যা সকল ছাত্র সমাজ একত্রিত হতে পেরেছিল। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের মিত্রদের নিয়ে কোন সময় মাথা চারা দিয়ে ওঠতে পারে। এজন্য ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শরীয়তপুরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার কারণে আমরা ভেবেছিলাম শরীয়তপুর উন্নয়নে ভেসে গেছে। কিন্তু পদ্মা সেতু পার হওয়ার পর শরীয়তপুরে রাস্তা দিয়ে আসার পথে মনে হচ্ছে একবার কাঞ্চনজঙ্গা দিয়ে যাচ্ছি একবার হিমালয় দিয়ে যাচ্ছি।
এসময় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, সামিয়া মাসুদ মুমু, মোবাশিরুজ্জামন হাসান মৃধা, আব্দুর রহমান, মোঃ হৃদয় হোসেন, শ্যামলী সুলতানা জিদনী, ইমন হাসান, নাইমুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, কাজী ইসমাইল হোসন রুদ্রসহ অন্যান্য সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য