-->

শেরপুরের মাদার তেরেসা রাজিয়া সামাদ ডালিয়া’র ৮২তম জন্মদিন পালিত

শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুরের মাদার তেরেসা রাজিয়া সামাদ ডালিয়া’র ৮২তম জন্মদিন পালিত

‘খুঁজেছি যেথা মিলেছে সেথা মাতৃ ছায়ার তল, পেয়েছি মোরা মাদার তেরেসার মানবতার আশ্রয়স্থল।’ কিছু মানুষের জন্মই হয় দেশ ও মানুষের সেবা করার জন্য। মানুষের উপকার করার মধ্যেই তারা খুঁজে পান আত্মতৃপ্তি আর পরম আনন্দ। তাদেরই একজন রাজিয়া সামাদ ডালিয়া। যিনি সব সময় মানুষের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে তিনি সেবামূলক হাসপাতালসহ নানা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলেছেন। মানবসেবার স্বীকৃতি হিসেবে এরই মধ্যে তিনি শেরপুরের মাদার তেরেসা খ্যাতি পেয়েছেন।

গতকাল সোমবার মাদার তেরেসা রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার ৮২তম জন্মদিন। ইতিমধ্যে রাত ১২টা পর থেকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়া ও নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে নানান ক্যাপশনে পোস্ট করে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সকল শ্রেণীর মানুষ।

রাজিয়া সামাদ ডালিয়ার জন্ম ১৯৪৩ সালের ১ ডিসেম্বর শেরপুর শহরের খরমপুর এলাকায়। ১১ ভাই বোনের মধ্যে তিনি মেজো। তিনি চট্টগ্রাম মহিলা কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি লাভ করেছেন। তার পিতা মরহুম খান বাহাদুর ফজলুর রহমান, তিনি ছিলেন তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার চিফ হুইপ। তার মাতার নাম লুৎফুন্নেছা। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস সামাদের সঙ্গে ১৯৬৪ সালে অক্টোবর মাসে তার বিয়ে হয়।

ঢাকার সোবহানবাগের সরকারি কলোনির স্বামীর বাসায় কাটে তাদের দাম্পত্য জীবন। এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে ১৯৮১ সালে স্বামী আব্দুস সামাদ মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি ১৯৮৩ সালে ঢাকায় ইংরেজি মাধ্যম একটি স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। সাত বছর শিক্ষকতা করে ঢাকায় আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে ১৯৯০ সালে নিজ জন্মস্থান প্রত্যন্ত অঞ্চল শেরপুর শহরে চলে আসেন। শুরু করেন মানবসেবা।

তার জন্মদিন ঘিরে দিনব্যাপী নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন সামাজিক সংগঠন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। সোমবার সকালে শেরপুর মডেল গার্লস ডিগ্রী কলেজে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাজিয়া সামাদ ডালিয়া।

এসময় শেরপুর মডেল গার্লস ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তপন সারোয়ার, রক্তসৈনিক বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আল আমিন রাজু, রক্তসৈনিক শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান শামীম সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্য ও কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ওই কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। এরপর দুপুর ৩টায় শহরের খরমপুরে সাধারণ মানুষের মাঝে সুপেয় শরবত বিতরণ করা হয়। এছাড়াও কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জন্মদিন উপলক্ষে বৃক্ষরোপন করেন রক্তসৈনিক সদস্যরা। রাতে রাজিয়া সামাদ ডালিয়া'র নিজ বাড়িতে রক্তসৈনিক সদস্য সহ অন্যান্য শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে কেককাটা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ভোরের আকাম/ সু

মন্তব্য

Beta version