‘গণঅভ্যুত্থানের আকাংখা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের সাথে বোঝাপড়া গড়ে তুলুন। নির্বাচন কমিশন গঠন করে জরুরী ভিত্তিতে নির্বাচন ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের উদ্যোগ নিন।’
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট এলাকায় দোস্ত বিল্ডিং এ পার্টির কর্মী সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে বলেছেন, ‘একটি নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের মনোযোগ নিবদ্ধ করা প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী সরকারকে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সম্মিলিত ঐক্যকে ধরে রাখা দরকার। এই গণঅভ্যুত্থান ছাত্র শ্রমিকসহ আপামর জনসাধারণের। এককভাবে কারো এই গণ অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করা সমীচীন নয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের দীর্ঘ ষোল বছরের লড়াই সংগ্রামের জমিনেই এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের কোটি কোটি মানুষের সীমাহীন পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাষ্ট্র-রাজনীতির মোড় পরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক সম্ভাবনা দুয়ার খুলে দিয়েছে। রাজনৈতিক দলসমূহকে গণঅভ্যুত্থানের এই আকাংখা ধারণ করতে হবে। রাজনীতির নামে পুরানা জমানার দখলদারিত্বের কর্তৃত্ববাদী শাসনে ফিরে যাওয়ার আর কোন অবকাশ নেই। গণঅভ্যুত্থানে সত্যিকারের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা উঠে এসেছে তাকেও বাস্তবায়িত করতে হবে। এই ঐক্য বিনষ্ট বা প্রশ্নবিদ্ধ হলে গণঅভ্যুত্থানের গৌরব ও মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
মৃদুল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য দেন, পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল বড়ুয়া মিলন, পার্টির রাংগামাটি জেলার সভাপতি আবুল হাশেম, সাধারণ সম্পাদক জুঁই চাকমা, পার্টির চট্টগ্রামের সংগঠক ডা. আহমেদ কবীর, পুতুন আলী, স্বপন বড়ুয়া, আব্দুল মান্নান, শ্যামল বডুয়া, অরুণ ধর, জনি বডুয়া, শামসুল হক, মিলন বডুয়া প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও দৈনিক ভোরের আকাশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান।সভায় মৃদুল বড়ুয়াকে আহবায়ক এবং জনি আরাদের বড়ুয়াকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।
সভার শুরুতে ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য