টানা ৫৩ ঘণ্টা পর সাভারের আশুলিয়ায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। এতে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সেনাবাহিনীর আশ্বাসে বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তারা এই অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
এর আগে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টা থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে অবরোধ করে শ্রমিকরা।
জানা গেছে, গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) লে-অফ ঘোষণা করা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের সার্ভিস বেনেফিট ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো ধরনের পাওনাদি পরিশোধ না করে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি তিন মাস সময় চেয়ে কারখানার গেটে একটি নোটিশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।
পরদিন সকালে শ্রমিকরা বকেয়া পাওয়ার আশায় কারখানায় গেলে আরও তিন মাস সময় চাওয়ার বিষয়টি দেখতে পায় শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বুড়িরবাজার রোড এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। অবরোধের টানা ৫৩ ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা।
এদিকে, ৫৩ ঘণ্টা ধরে গুরুত্বপূর্ণ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বহু মানুষ। দূরপাল্লার বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ অসংখ্য যানবাহন আটকে আছে মহাসড়কটির প্রায় কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। এর প্রভাবে আশপাশের ঢাকা-আরিচা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কেও যানজট সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন মানুষ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল থেকে নবীনগর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের নবীনগর থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধের টানা ৫২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো ধরনের আশ্বাস না পাওয়ায় প্রত্যাহার করেনি শ্রমিকরা। অবরোধের টানা ৫৩ ঘণ্টা পর মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সড়ক ছেড়ে দেন তারা।
এ ব্যাপারে শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে ১ টার দিকে সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য