-->
শিরোনাম

সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ৭৬ জনের নামে মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সাবেক সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ ৭৬ জনের নামে মামলা

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে কৃষকের জমির পাকা সরিষা নষ্ট করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করার অভিযোগ এনে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার সহ ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞতনামা আসামী করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে কামারখন্দ উপজেলার চর নুরনগর গ্রামের আকবর শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কামারখন্দ থানা আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার শুনানী শেষে বিচারক ওমর ফারুক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যডভোকেট নাজমুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কামারখন্দ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়ে কোন কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি।

মামলার আসামীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব (তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব) কবির বিন আনোয়ার, কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক টি.এম মোস্তফা জয়, লুৎফর রহমান বাবু, মান্নান মাষ্টার, আশরাফুল ডাক্তার, ভাটা রফিক, আমিনুল ইসলাম আক্তার, আব্দুল আলিম, শাহিন রেজা, আলম শেখ, নাজির হোসেন, টুটুল, ইয়াসিন হোসেন মেম্বর, আব্দুল লতিফ, মাসুদ রানা শেখ।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কামারখন্দ উপজেলার উদয় কৃষ্ণপুর মৌজায় অর্ধশতাধিক কৃষক প্রায় ৯৭ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলেন। এ অবস্থায় তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব (সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব) কবির বিন আনোয়ারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজসে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্ত বায়নের নামে ওইসব ফসলী জমির ফসল নষ্ট করে ফুলজোড় নদীর উত্তোলিত বালু রাখার ষড়যন্ত্র করেন।

বিষয়টি বুঝতে পেরে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক কৃষক। এরপর হাইকোর্ট ২০২২ সালের ১ জানুয়ারী ওই জমিতে মাটি ভরাট না করার জন্য আদেশ দেন। কিন্তু আসামীরা উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারী কৃষকের ফসলী জমিতে ঢুকে চারটি ভেকু মেশিন (মাটি কাটার মেশিন) দিয়ে পাকা সরিষা নষ্ট করে মাঝখানে বালু রাখার জন্য জায়গা রেখে চারদিকে মাটির বাঁধ নির্মাণ করেন।

এতে কৃষকদের প্রায় ২৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার সরিষা নষ্ট হয়। আর জমির মাটি কাটার কারণে ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। এ ছাড়া জমির মাটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ওই সব জমিতে এখনও কোনো প্রকার ফসল আবাদ হচ্ছে না। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় সে সময় কৃষকরা মামলা করার সাহস পাননি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version